আত্ম বিশ্লেষন
পূরব ব্যানার্জী
নিস্তব্ধ রাতের,গভীর চুম্বনে,
নিদ্রাহীন অসহ্য শয্যায়-
আমারে প্রশ্ন করিল 'আমি',
আমারই অস্তিত্ব নিয়ে !
দীর্ণ করিল অন্তর মম,
শুধু এক নির্মম প্রশ্নে -
কে আমি? "আমি কে ! "
গর্ভ সঞ্চারের প্রাক্কালে,
করিনু প্রয়াশ,করিতে অতিক্রম -
সৃষ্টির রহস্যে গিয়ে, দিতে হাতছানি।
জানিবার তরে শুধু -
কিবা মোর মূল পরিচয়।।
ঘোর তমসাচ্ছন্ন, মৃত্যুর কবলে -
পরিচয় হীন হয়ে ভ্রমিয়া জগতে,
জানি যাব একদিন নিশ্চয়।।
জানি কালেরও নিয়মে সবই,
সময়ের স্রোতে যাবে মুছে।
দ্যূতিসম অালোকেও, অন্ধের মতো -
আশ্রয়ে পার হবো, আরো সব সাথে,
নাটকের শেষ অংকে গিয়ে একদিন।।
তবু নিজের প্রশ্নে হয়ে সচকিত,করি
মরীয়া প্রয়াস বার বার -
কোন সূত্রে অাছি বাঁধা, ভব সংসারে
অার জীবন ও মৃত্যুর পরোপারে।।
বিজ্ঞানের যুক্তি যেন, নাহি মানে মন -
মাতৃ ক্রোরে, ক্রন্দনরত অবোধ শিশুরে,
দেওয়া প্রতিশ্রুতি সম।
জন্ন-মৃত্যু নাহি পারে হতে শুধু,
মোর পরিচয়ের অাদিঅন্ত।
সুশৃংখল প্রকৃতির কোলে -
কালের লুকোচুরি খেলা,
ভাবনাময় এ বিশাল কল্পনার ভবে ;
স্নেহ,মায়া মমতার রহস্য,
শেয হতে নাহি পারে, শুধু মৃত্যুতে।
শুধু জন্ম নয় মোর পরিচয় -
মানবতা নয় শুধু মোর ঠিকানা।।
এ যেন অদৃশ্য এক নিয়মের,
অদ্ভুত উন্মাদনা,রেখেছে যা করে,
রাত্রির মতো ঘোরাচ্ছন্ন।।
অসহায় চেষ্টায় করে হাহাকার -
নাহি মনে পেয়ে কোনো আশ্রয়,
অজ্ঞানের মতো ফের আসি ফিরে,
আমারই কাছে আমি,
লয়ে মোর অজ্ঞাত পরিচয়।।