মা
              পূরব ব্যানার্জী


শৈশবে ওই খেলনা পুতুল নিয়ে,
খেলতে যখন তুমি অাপন মনে,
নয়তো বা ওই পিতার কাছে বসে,
হাত বোলাতে মাথায় তার যতনে,
সেই দিনেতেই জন্ম যে মোর মাতা!
তোমার মানস চোখে, তোমার কোলে।।


দিন যত যায়, উড়িয়ে পথের ধূলো,
ব্যস্ততম পঠন পাঠন দিনে!
চলার পথে যতেক শিশুর ঝলক,
পড়তো এসে তোমার চোখের পানে।
স্নেহভরা চাওনি দিয়ে তুমি -
দেখতে তাদের আমার স্বপ্ন নিয়ে।।
সেইদিনেতেই তোমার অগোচরে,
এসেছিলাম অামি তোমার কোলে।।


ছাগশিশুকে করতে অাদর যখন,
হাত বুলিয়ে সারা শরীর জুড়ে -
পাড়ার শিশুর কান্না শুনে পরে,
সজলচোখে অাসতে ধাওয়া করে।
দেখতে তুমি পাওনি মাগো সেদিন,
লুকিয়ে অামি ছিলাম তোমার ক্রোরে।।


তুমি শুধু নয়তো মাগো অামার,
জনমদায়ীর পরিচয়ে বাঁধা।
যেদিন তোমার  জ্বললো জ্ঞানের আলো,
সেই দিনেতেই হলে আমার মাতা।
হয়তো তুমি না জানারই ছলে,
নিয়েছিলে স্বপ্নে আমায় কোলে।।


গর্ভে তোমার এসেছিনু যবে,
শরির সেদিন দিলে অামায় তুমি -
একলা ঘরে বিড়বিড়িয়ে যখন,
কয়তে কথা  অামার সনে তুমি ।
যতই তোমায় ভাবুক সবাই একা -
একসাথেযে ছিলাম মায়ে ছেলে।।


অাজকে মাগো বড় হয়ে দেখি,
পালিয়ে অামি চাই যেতে পরদেশে।
যদিও জানি তোমার চোখে অাজও,
অাছি অামি সেই ছোট্ট শিশুর বেশে।।
যতই তোমায় দেয়না অাঘাত অামি,
সব দেবতার উর্ধে, মা যে তুমি।।


মা কথাটা বুঝি কেমন করে,
মা এর অর্থ নাই যে অভিধানে।
মা এর মর্ম মা ই বোঝে শুধু ,
বিশ্বপিতাও বাঁধা মায়ের ঋনে।।
মাগো অাজি প্রার্থনা মোর যেন,
সদাই রেখো তোমার অাঁচল তলে।।