নারী
               পূরব ব্যানার্জী


বিধাতার এক অলৌকিক সৃষ্টি তুমি, হে নারি -
লক্ষ সৃষ্ঠি মাঝে, মোহিনী রুপে করো
বিশ্বশাষন নিজের অজান্তে।
অফুরন্ত শক্তি ধরে, সহস্র যাতনা সহে হাঁসি মুখে,
স্নিগ্ধতার মাঝে আছো লয়ে, অদম্য চঞ্চলতা -
কি তব লীলা বিশ্বমাঝে!
প্রকৃতির মহাশক্তি রুপে করিছো বিরাজ,
হে নারি, বিধাতার শ্রেষ্ঠ কীর্তি তুমি।।
স্রষ্ঠার সৃষ্টি কে রেখেছো জীবন্ত করে,
তুমি জীবন্তিকা ধরিত্রীর বুকে।।
নিঃশর্তে সহিয়া সহস্র যাতনা,তুমি নিরবে রেখেছো ধরে,
তোমার অনন্য সৃষ্টি, স্নেহের ও বাঁধনে নিজ গুনে।।
মোহিনী রুপে ভাঙিছো অাজো, কত বিশ্বামিত্রের
সাধনা, নিজ শক্তি করিতে পরখ, হে লাস্যময়ী।
স্থির শান্ত নদি সম,হয়ে খরস্রোতা ভয়ংকরি-
ভাসায়ে লয়ে যাও স্রোতস্বিনী রুপে,
জগতের তুচ্ছ আবর্জনা, জঞ্জাল সমূহ!
পবিত্র শরীরে ধরে, করো মুক্ত পাপের রসনা,
নির্বিকারে, ওহে সৃষ্ঠিশীলা।।
যন্ত্রনা,অবহেলার জ্বালা, নিঃসঙ্গতার শংকায়,
কভু লও ছলনার আশ্রয়, কপোটতার নাহি চিহ্ন
দেখি তাহে, তুমি প্রেমেরও প্রতিক।
সরলতার শ্রেষ্ঠ রুপে থেকে,তবু নহে বোধগম্য,
মহামায়া তুমি নিজ গুনে, পুরুষের দরবারে।।
আজো দেখি ঘৃনিত সমাজের কীট তোমারই,
মন্দিরে এসে পাপ ধুয়ে,তোমারেই অপবিত্র করে,
নিজ মুখে সততার মুখোশ লাগায়ে।
তুমি নিরবে সহ, পবিত্র গঙগার মতো
ধুয়ে  জগতের যত আবর্জনা নিজ স্রোতে।
তুমি মাতৃরূপা স্রষ্ঠার রচনা।।