সভ্যতার বিলাপ
                     পূরব ব্যানার্জী


তোমাদের সভ্যতার মোড়কে যে বিভৎস্য রুপ উঁকি দেয়,
যে কপোট হাঁসির আড়ালে,
বিষদন্ত নিরখিয়া, এক অদৃশ্য শংকার জন্ম দেয় -
সেই যান্ত্রিক হৃদয়ের মিথ্যে সোহাগ এক,
অবিশ্বাস এর দলদলে নিমজ্জিত করেছে মোরে প্রতিক্ষনে,
সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ ছেয়েছে তব মেকি আচরণে।
ধর্মের নামাবলী জড়ায়ে তুমি প্রতিমুহুর্তে,
করিছো নিরীহ ধর্মপ্রানদের মানসিক নিধন নির্বিচারে।
ভন্ড দেশপ্রেমিকের দল !  
দেশমাতারে করেছো গোলাম শিল্পবিপ্লবের নামে।
আধুনিকতার দোহায় দিয়ে, পোষ্য করেছো মোরে,
নির্বিচারে করেছো লুন্ঠন মোর বিবেক, সঞ্চিত পৈতৃক সংস্কার,
ধিক্ তব সভ্যতারে !
বর্বর করেছে যা মোরে দিয়ে যান্ত্রিক রুপ,
চাই না এই উন্নয়নের নামে স্বীয় সত্ত্বার সৎকার।।
ফিরিয়ে দাও মোর শস্য শ্যামলা বসুন্ধরা,
সেই বর্ষার পরে মাটি পোড়ার সোঁদা গন্ধ,
মিস্ট সমিরন, মৌমাছির গুঞ্জন,প্রজাপতির রং এর বাহার।
আমি চাইনা এই যন্ত্রের লড়াইএ হারাতে মোর,
সেই গেরো ফতুয়ার পিছে -
লাল মোড়ামের ধুলো উড়িয়ে পাগলা বাউল গান,
সেই গাছের দোলা, শালুক তোলার দুষ্টু বালক দল।।
মোর আপন স্বজন, বন্ধু কুটুম্ব, গেলো যে কোথায়?
দাও ফিরিয়ে মোরে সেই স্নেহ সেই আদর যত্ন হায়।
আজি ক্লান্ত বড়, ব্যস্ত জীবনে, বন্ধ যে মোর শ্বাস,
মোর অহংকার মোরে দাও ফিরায়ে,
দাও ফিরায়ে মোর বুকভরা নিশ্বাস।।