শৈশবের হত্যা
                   পূরব ব্যানার্জী
ভাবছি আমি অবাক হয়ে দেখছি আমি দুচোখ মেলে,
কচিমুখের বাচ্চাগুলোর দূর্গতি ওই পড়ার ছলে।।
মা, বাপির হাতটি ধরে, তোতলা ভাষায় নার্সারিতে,
সেদিন থেকেই বড্ড যে চাপ, ভোর থেকে সেই গভীর রাতে।।
দুস্টুমি নাই গোমরা মুখে, খুবই রাগী অধ্যাপিকা -
বইএর চেয়ে দ্বিগুণ খাতা, থলের চাপে নিজেই ঢাকা।।
ঘুম আসে না ছোট্ট চোখে, ঘুমপাড়ানি গান কে শোনায় !
দুহাত দিয়ে চাবরে মাথা, অবুঝ ভাষায় আবৃতি গায়।।
ছোট্ট ঘরের স্বল্প লোকে ছোট্ট পরিবারের আদর।
ছেলের পড়ার নাইকো রুচি,ঘুম উড়েছে মা ও বাবার।।
খেলার মাঠের বড্ড অভাব, গলি গলি দালানবাড়ি।
খেলবে শিশু তাতেও নিয়ম, কোচ দেবে তার নজরদারি।।
আম কুড়ানো,বৃস্টি ভেজা, কাদা জলে দৌড়াদৌড়ি -
এসব কথা শুনলে মাতা, যান যে হেসে গড়াগড়ি।।
মিস্টি হাসি উদাস মুখে, শৈশবের ওই দিন ডাকাতি,
বড্ড জ্বালায় ভাবছি যে তাই, মানবতার কি দূর্গতি।।
কবিগুরু, আইনস্টাইন বা আর যত সব মহাপুরুষ।
তারাও কি হায় এমন করেই, কাটিয়েছিল শিশু বয়স।।
কেমন করে হচ্ছে নিধন,জীবন থেকে  ছেলেবেলা।
যন্ত্রমানব করছে সমাজ,হৃদয় ভেঙে করছে খেলা।।