রাত পরি
               পূরব ব্যানার্জী
ভোরের আকাশে এক ফালি চাঁদ ক্লান্তি জড়ায়ে চোখে ,
কি যেন আমায় ইশারা করে গেল বলে জোৎস্নালোকে।
অবুঝের মত বাতায়ন বেয়ে রহিলাম আমি চেয়ে -
ভাবনা আমায় নিয়ে গেল কোন অচিনপুরে ভাসিয়ে।।
সারাটা রাত্রি তন্দ্রার ঘোরে বৃথা কাল গেল কেটে -
কি যেন হারালো রজনি নিশিথে, স্বপ্ন সাগরের তটে।।
চুপিচুপি শশি কানে কানে মোরে শোনালো গোপন কথা,
নির্জনে এসে রাতপরী কোনো একাকী পেয়েছে ব্যাথা।।
সঙ্গীহারা একা সেই কোনো অচিনদেশের রানি -
চেয়েছিল কোনো রাজকুমারে শোনাতে তার কাহানী।।
ঘুম পাড়ানি গান আর তার কত সুমধুর স্বপন,
না পেয়ে কাহারে গেছে ফিরে একা হতাশায় হয়ে ম্লান।।
বেদনায় তার শিশিরের রুপে করুন চোখের জলে,
শিউলিতলা গেছে ভরে শত শত রাতের শিউলি ফুলে।।
আনমনা আমি করি হাহাকার, খুজে মরি সারা গগনতল।
কোথা গেল মোর স্বপনের রানি, শশী পানে চায় হয়ে বিহ্বল।।
হেনকালে যেন কে আমায় ডাকিল, শিয়রে রেখে কোমল হাত।
সচকিতে ফিরি আকুলিত প্রান, দেখি মোর পিছে সে সাক্ষাৎ।।
খুব চাইলাম বলিতে শুনিতে, চেয়ে তার ওই দিব্য চোখে -
অবুঝ চেতনায় সজল নয়নে,চায় শুধু নাই কথা মুখে।।
রাত ছিল শেষ, তাই সে না বলে চুপিসারে মিলায়ে গেল কোথায় !
অধরা স্বপন ফেরায় সম্বিত, আমি থাকি চেয়ে   মন জ্বালায়।।
হয়তো আমাকে পাগল বলিবে, শুনিয়া হাসিবে মোর কথা,
কিজানি কিভাবে এল এ পরি, আজও জ্বলে মনে সে বিরহ ব্যাথা।।