সভ্যতার রসায়ন
                    পূরব ব্যানার্জী
একরাশ সিগারেটের কুন্ডলিকৃত ধোঁয়া,
নিকোটিন এর ঝিমুনি, যেন -
মস্তিষ্কের জঞ্জালের মাঝে কিলবিল করতে থাকা,
কীটানুদের ক্ষনিকের জন্য নিস্তেজ করে।
খোলা আকাশের নিচে,
উন্মুক্ত হাওয়াতেও দমবন্ধ হওয়া এক গুমোট  পরিবেশ,
দুর্বিষহ করে দেয় বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা।।
যন্ত্রবিজ্ঞানের আশীর্বাদে যেখানে,
সহজপ্রাপ্য সকল সুখ প্রতিপদে,
তবু কোন হাহাকার, এনেছে নিঃস্বতা -
সবপেয়েও শুন্যতা করে গ্রাস প্রতিক্ষনে,
শুস্ক ফিলামেন্ট খোঁজে, একফোঁটা জল ;
মরীচিকা হয়ে উঁকি দেয়, ধুসর মরুচিত্তে -
একটুকু শান্তির সুখনিদ্রা, ফুটপাতে পড়ে থাকা -
নিরাশ্রয়ের কাছে চাহে ভিক্ষা।।
হাসিমাখা উড়ন্ত যৌবন দেয় হাতছানি,
সমাজের বড় বড় অট্টালিকার কোনে -
জমে থাকা দলদল হতে,
ভেসে আসে দূর্গন্ধময় এক দীর্ঘশ্বাস।
অন্ধকারে বাতায়ন বেয়ে, অস্তিত্বের সংগ্রামের,
মরীয়ার প্রয়াস, বিবেক কে তালাবন্ধ রেখে-
একঘেয়ে রোজকার আবৃতি পড়ে,
মেকী সভ্যতার অলংকারে জীবন করে হাঁসফাঁস।।