কবি ও কবিতা
                         পূরব ব্যানার্জী
কবিতা কি শুধু ছন্দের মেল আর গুটিকয় নীতিকথা,
না কোনো খ্যাতির প্রচেষ্টা, বা শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা।।
চারিদিকে এত কাব্যচর্চা, এত বিচারকের ছড়াছড়ি।
কবিতা লেখাটা পেশাদারী, নাকি খুশি করার কারবারি।।
হয়ত বা তাই, যার তরে কবি একদা বিরহে করেছিলেন  ক্রন্দন।
চেয়েছিলেন ছেড়ে কবিতা, জাগাতে গদ্যে জীবনের স্পন্দন।।
নয় সাহিত্যিক, নয় বিচারক, আমি এক অতি সাধারণ জীব।
তবু আজ মোর দীপ্ত ঘোষনা, জাগো কবি, হোক কবিতা সজীব।।
ছন্দ ছাড়াই ছন্দ গড়িবে, আপনি আসিবে সুর -
কলম লিখিবে হৃদয়ের কথা, মনে হবে ঝংকার।।
ব্যর্থ প্রেমিক ভেঙে চুরমার, ছেড়েছে বাঁচার আশ।
কবিতায় তারে মলম বোলায়ে, করিবে ফের বিন্দাস্।।
অত্যাচারের ভাষা কবিতা, নিয়ে আসে বিপ্লব।
ভীরু, দূর্বল দধীচির কন্ঠে, কবিতা জাগায় ক্ষোভ।।
সমাজের ভয়ে গৃহবন্দী যে অভাগী, হয়েও নির্যাতিতা।
নির্যাতকের মুখে পদাঘাত করে, কবিতায় হয় ত্রাতা।।
কবিতা একাই দিতে পারে, লক্ষ মানুষের প্রতিবাদী সমাগম।
কবিতায় পারে এনে দিতে দেশে, রেনেসাঁস  বা পরিবর্তন।।
পুঞ্জিভূত অভিমান জ্বালায়, যখন হৃদয় বেদনাতূর,
কবিতায় ভাঙে মান, আনে প্রেম, করে যত বিদ্বেষ দূর।।
প্রেমিকের গান, বিপ্লবীর কামান, অসহায়ের প্রতিবাদী গর্জন।
কবিতা লেখে না কবি !  কবিতায় করে কবিদের আমন্ত্রন।।