সে এক নির্জন পথ, বন্ধুর পাথুরে ;
যেখানে মানুষের পদধ্বনি আসে ,
স্বপ্নের মতো, যুগ যুগান্ত পরে !
অনেক পথ হেঁটে, কত সময় পাড়ি দিয়ে -
তবে এলাম এপথে, একাকী নির্জনে।
এমন পথ চড়াই উতরাইয়ে ভরা ,
যেন আকাশে ঘন সাদা কালো মেঘ !
তবু এপথে হাঁটায়, ক্লান্তি নেই ;
শীতের শুষ্কতা আমার ঘাম মুছিয়ে দেয় !
মৃদু বাতাস, বহে নিয়ে চলে আমাকে  ।
পথে যেতে যেতে, প্রিয়- তোমার মুখের মতই
অপরাজিতা ফুল দেখতে পাই ;
পথের পাশে আগাছা বনে ফুটে আছে।
আমি আশাবাদী, অন্ধকার হতে আলোর পথে হাঁটি!
তবু যারা আলোর পেছনে ছোটে, তাদের বলি-
সে পথে পদে পদে বাঁধা।
জানি কাজে ক্লান্তি আসে;
তবু আমি কাজেই নিবদ্ধ থাকতে চাই ।
একশো বছরের অনাহারী মৃত সাপের -
বিষ মাড়াতে চাই না, পারবোনা মাড়াতে বিষ !
এমন পাপে পৃথিবীর পচন ধরবে ।
হাঁটতে হাঁটতে পথ, পথে-
বুকের মাঝে ক্লান্তি লীন হয়ে আসে;
তবু শ্বাস- প্রশ্বাসের, হয়নি অনিয়ম।
এমন নির্জন পথে, আমি একা !
আকাশ ঘন কালো মেঘে ছায়া ,
অনেক অনেক বৃষ্টি হবে-
গ্রাম শহর পথ ঘাট এক হবে;
হয়তোবা আমাকে ও ভাসিয়ে নেবে!
মনের ঝং ধরা, মরিচা পড়া দুঃখ গুলো -
সেই জন্মক্ষণ হতে বহে চলেছি!
তবু কোনো সূর্যের আলো, কিম্বা -
মৃদু হাওয়া স্পর্শ করেনি তাকে ।
একা আমি, নির্জন পথ এমনই,
প্রায় ই বর্ষার রাতে ঘুম আসে না !
প্রিয়, তোমাকে নিয়েই যত ভয় আমার ,
তাইতো মনের ভেতর ;
বুকের মাঝে আগলে আছি  ।
সে যে কত রাত! ভীত সন্ত্রস্ত মনে -
তোমাকে পাশে নিয়ে কাটিয়েছি আমি,
হঠাৎ যদি বজ্র হানে -
ওবুকে লাগে ব্যাথা ।
কে যেন হঠাৎ অন্ধকারে, মনে মনে -
জ্বাললো বাতি, তবে তুমি কি এলে !
একাকী এই নির্জন পথে ,
বকুলের শাখায় একটি ফুল হয়ে।
তোমার উপস্থিতি সকল রাত ;
আমার কাছে দিন হয়ে আসে।
আমি যেন তাজমহলের -
অব্যাক্ত ভাষা শুনতে পাই;
তাই পৃথিবীকে শূন্য করে,
এই নির্জন পথে, তোমাকে চাই।