কবি সুকান্ত,
অনেকদিন ধরে তোমায় একটা চিঠি লিখবো ভাবছি,
লেখা হচ্ছে না; ফেসবুক দেখেই সময় কাটাচ্ছি।
তাই ভাবলাম; আজ না হলে আর কোনোদিন হবেনা
বানান ভুল হলে ক্ষমা কোরো, চিঠি থেকে মন সরিওনা।  


তুমি বলেছিলে,'এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে'
আঠারোর শুধু ছাত্র নয় ছাত্রীরাও আজ নেই থেমে।
তুমি যে 'দেশলাই'এর ছন্দে আগুন জ্বালিয়েছিলে মনে,
সে আগুন এক্কেবারে নিভে যায়নি এখনও ছাত্রজীবনে।


কিন্তু আঠারো আটত্রিশ হলে কেমন ভীতু হয়ে যায়,
সংসার,কর্মজীবন,নিজস্ব চাহিদার মধ্যেই সে আটকে যায়,
আটত্রিশ আটচল্লিশ হলে সে টাকা জমানোর ফিকির খোঁজে-
আর আটান্ন সেই টাকা চালান দেয় হসপিটালের কোষঘরে।


তুমি আর কটা দিন থেকে যদি আরও কিছু কবিতা লিখতে
ওদের গায়ে-মনে-মস্তিষ্কে শিহরণ জাগাতে পারতে,
তাহলে বোধহয় তোমার কবিতা নিয়ে প্রতিযোগী শিশুগুলোর মতো
ওদের মা-বাবা মেডেলের জন্য করতো না শিশুমনকে বিপর্যস্ত !


একুশ এখন নতুনকে খোঁজে একবিংশ শতাব্দীতে,
আটান্ন, আটষট্টি-এর টোন-টিটককিরি গিলতে গিলতে,
যদিও এখন হেডফোনের শব্দে তা তাদের কানে যায়না
তবু কোথাও যেন একটা ছন্দ কিছুতেই আর মেলে না।


তুমিই আরেকবার কলম ধরো, আটান্নকে কবিতার নায়ক করো-
ছন্দ মেলানো কাব্যে ওদের এবার বুড়ো থেকে বড় করো।
চিঠিতে করলাম তোমার কাছে নতুন কবিতার ফরমাইশ,
ইতি,তোমার স্বপ্নের দেশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ক্ষুদে বাইশ।