গুনগুন গান গাওয়া
          মাটির উপর আঁকিবুকি
গাছের ডাল ধরে ঝোলা
      ঘাসের শিষ চিবোতে থাকি।


নদীর পাড়ে বালুকাবেলা
     অথবা কোনো ফুলের বাগান
শুকনো পাতায় উষ্ণ চিঠি
   কিভাবে তুমি দিয়েছো জোগান।


জানালার ধারে ট্রেনে বসা
          ঝালমুড়ি আর কাঠিভাজা
পকেটে সামান্য কড়ি
        প্রেমটি ছিলো ভেজা ভেজা।


সিনেমাহলে পাশাপাশি
          পর্দায় দেখি ডিম্পল-ঋষি
ভাবছি যেন আমরা দুজন
             একই ঘরে বন্দী আছি।


কাটলেট আর কবিরাজি
             রেঁস্তোরা কিংবা ক্যাফে
বিভোর হতাম চারটি চোখে
          ঠোঁট দুটো যে বড্ড কাঁপে।


গোলাপী রঙের শিফন শাড়ি
               দেখে তুমি মুগ্ধ হতে
তারিফ করতে কানেকানে
            হাতটি যেন কখন ছুঁতে।


সাদা পাঞ্জাবী তোমার গায়ে
            যাদুর ছোঁয়া ছিল তাতে
ঠিক যেন স্বপ্নে দেখা
              পুরুষটি আমার সাথে।


হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যেতাম
             নির্জন কোনো জনপথে
হাজার কথা ভাসতো মুখে
কিছু বলতে পারা কিছু স্তব্ধ থাকে।


ভবিষ্যতের কথা নেইকো জানা
                  সঙ্গ সময় খুশি যত
মুক্ত আকাশে উড়ায় ডানা
         আনন্দ পাওয়া পাখির মত।


সবার চোখে পড়ল ধরা
               প্রেমের এই লুকোচুরি
বাড়ির লোকে ভেবেই মরে
            কে সইবে এই ঝকমারি?


কৈফিয়ত তো দিতেই হবে
                ভালোবাসা দুটি মনে
দোষ করিনি অপরাধের
            অবাক হলো সবাই শুনে।


শুভক্ষণ,শুভদৃষ্টি,মালাবদল,অগ্নিসাক্ষী
            আবার শুরু হলো কথা বলা
চারটি পা এগিয়ে দিলাম
                 নতুন জীবনে পথ চলা।


      ****************
          ***********
             ********


আমার এই কবিতাটি একটি "শারদীয়া সমাজ সংবাদ"পত্রিকাতে পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে।