লোপামুদ্রা, তোমাকে ভালবেসেছি।
কোনও নিয়ম শিখে জন্ম নিইনি বলে
অনিয়মের এই ইট পাথর সংসারের ছোবল
নিতে নিতে আমার হাফ ধরা এযাবৎ মৃত অতীত
আর কাকতালীয় আলাউদ্দিনের প্রদীপে বিশ্বাস করে না ।


মনের অতল সিন্দুকে, তোমার প্রতি সেই অদম্য অধিকার
যেন এই ডিজিটাল অনুভূতির, তুমি আমার পোষ মানা ইলেকট্রন
আমার এইমাত্র লিপ্ত শরীর, ইচ্ছে অনিচ্ছার ধার না ধরেই
নিরন্তর দাবি নিয়ে আছে, দাড়িয়ে আছে তোমার শরীরে।
ঘোলাটে চুমু শুধু চুমু তে থামেনা কখনো বলে, আমার
এই অতীন্দ্রিয় চোখ যেন স্যাটেলাইট পাহারায়, তোমাকে
আরও অনেক বেশি পণ্য করে, পানিয় করে।


তোমার পথ-বদল, সঙ্গী বদল বা অপরিবর্তন
তারাদের সাথে ঘুরে ঘুরে, এক নক্ষত্র থেকে আরো
ভিন্ন কোন গ্রহে এই ক্ষণ মুহূর্ত জীবনের
স্বাধীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা সমার্থক হলেও
কেনই বা এত সংজ্ঞায়িত ভাঙ্গা গড়া,
শিখে শিখে ক্লান্ত, আদিম এবং অনায়তন হৃদয়-ভারে?
কেবলই মনে হয়, এই সেই সবুজে বা পাথুরে পথে
তুমি হেটে হেটে চলে গেলেই বলেই কি এত রাত ঝরল
জল চোখে, নাকি এ ব্যথাও শিখেছি এই সময়ে - যেভাবে
শিখেছে এত কাল, এত যুগ ধরে এত সভ্যতা।


তুমি মেয়ে বলেই আমি ছেলে আর বিপরীতও তাই
এর মধ্যে এই রোজকার উজাগর বাজার পত্তর এবং সভ্যতা
এ আমি চাইনি । চাইনি তোমার বানানো অর্ধ পূর্ণ আইন আর অসমাপ্ত পুঁথি।
একবারও আমি বিজ্ঞ হতে চাইনি, এই অনিশ্চিত, এক অদ্ভুত অনিশ্চিত
পৃথিবীর কালো রাস্তা আর কালো আকাশ পেরিয়ে খ্যাতিময় জগতে।
চেয়েছি, তুমি ভালবাসলেই - আমার ভালবাসায় এই পৃথিবী,
শুধু এই পৃথিবীর সমস্ত সংজ্ঞা থেকে চীর মুক্তি।