আজ বান ডেকেছে পুষ্প শত ছড়িয়ে থাকা শিমুল ডালে
সেজেছে সে দলে তাহার চোখ ধাঁধানো লোহিত লালে
জাগছে ঊষা ডাকছে কোকিল কণ্ঠতে গান পরবাসী
আজ দক্ষিণ হাওয়ায় মাতাল এ মন ঘরহারায়ে হয় উদাসী
শুভ্র কানন ভরছে ফুলে দলে তাদের রঙিন আভা
ফাগুন এলো আগুন নিয়ে ভরিয়ে তাহার পুষ্প সভা
কোথা হতে আনলো ফাগুন সঙ্গেতে তার পুষ্প লয়ে
লাগলে কায়ায় দক্ষিণ হাওয়া পরশে যাই উদাস হয়ে
কত ঘাটের পথ পেরিয়ে আসলো ধেয়ে দক্ষিণ হাওয়া
ঊষায় আখি মেলে দেখি নানান রামের পুষ্প ছাওয়া
কুহুক ডাকে গাছে বসে সংগীতে তার ফাগুন প্রীতি
হানছে আঘাত প্রাণের মাঝে ডাকছে মোরে মা প্রকৃতি
তাল হারায়ে বেতাল হয়ে রূপেতে তার হই উদাসী
ব্যাধি না পায় করতে কাবু যতই থাকুক সর্দি কাশি
রঙিন সাজে রঙ নিয়ে তাই ফাগুন এলো আগুন নিয়ে
সেই আগুনের উত্তাপে মন উদাসী হয় পথ হারিয়ে
লঙ্ঘিয়া তার স্পর্ধা সীমা বইলে বাতাস হই বিবাগী
এসেছে ফের ফাগুন ফিরে করতে মোরে গৃহত্যাগী
প্রাণের মাতন জাগলো আবার জাগিয়ে দিতে এ মনটারে
এলো ফিরে বছর ঘুরে ফাগুন আবার নিখিলদ্বারে


চোখ মেলে যা দেখছি আমি তাহাই লাগে ভালো
ঘুচিয়ে দিল ফাগুন আলোয় মনের সকল কালো
কি জাদু সে সঙ্গে করে আনলো ফাগুন পূর্বাসী
পরশে তার খেই হারায়ে সব ভুলে হই উদাসী
প্রাণের মাতন জাগলো আবার জাগাতে এ মনটারে
এলো ফিরে বছর ঘুরে ফাগুন নিখিলদ্বারে
সব মানুষের প্রিয় সময় সকল সালের শেষে
আসে ফাগুন বসন্ততে পুস্পে হেসে হেসে
তাহার আগমনে আজি স্থির আমি নাই
এসেছে ফের করতে উদাস পহেলা ফাগুন ভাই


রাহাত হোসেন