বারে বারে দেখি মারে দেখি বারেবার
দেখিয়া তোরই মুখ বাড়ে হাহাকার
দেখ কি কালো ছায়া পড়িছে বদনে
কি যেন সে রাখে চেপে নিজ তনুমনে
জ্বলে নাহি বাতি আজ সন্ধ্যারও কালে
নাহি কাটে অণুক্ষণ তার দেখভালে
কেন জানি রূপ তার যায় ঢলে যায়
মুখ তুলে মা আমার নাহি ফিরে চায়
যারে রেখে বুকে মাতা গরবও করিবে
কে জানে তারা মার টুটিটা ধরিবে
জাত মাতা বানায়েছ বাঙালী করিয়া
কেন তবে ঘৃণা করে সে জাতি স্মরিয়া
নিজ গৃহে ভাই বোন মারিতে মরিয়া
দিবানিশি কেটে যায় বিলাপও করিয়া
কার তরে দেব গালি নিজ ঘরে হায়
গালি আসে নাহি মুখে চোখ ভিজে যায়
ঘরে ঘরে আজ মা কলহ বিবাদে
জড়ায়ে রয়েছে সবে মাতিয়া তাহাতে
কেন মাতা নিজ দেশে মরে নিজ ভাই
সবে করে এ সওয়াল জবাবে তা নাই
কেন হবে নিজ ঘরে ভগিনীরও হানি
কি হিসেবে অমানুষ গড়েছ না জানি
ভিনদেশে কি যে মিল সবে ভাই ভাই
তোর কোলে কেন মা সেই মিল নাই
পয়সার মোড়কে ঢাকা পড়ে দেহ
ভালোবেসে বুকে নেবে নাই কেন কেহ
স্বার্থের লাগি মা মারে লোকে লোক
করি শুধু মরে মরে আমরাই শোক
পারি নাহি করে যা তোর ছেলেপেলে
আমরা মা গালি দিলেই পুরে দেয় জেলে
এটা কোন নীতি মা বল দেখি মোরে
দোষ কি এটাই যে ভালোবাসি তোরে
তবে কেন আসে তবু মোর চোখে জল
এর উত্তর মা বল মোরে বল
হত না মা এ বিলাপ ঘোর দিবারাতি
বাঙালীর সাথে যদি মানুষও বানাতি


রাহাত হোসেন