(আমার অনুরোধে ‘জগতের হাসি কান্না ০১’
কবিতাটি অরুন কারফা কর্তৃক সম্পাদিত)

  “দেখ ঐ গগনে, বুকের মানিক সকল,
খেলে মিটি মিটি, নেমেছে আনন্দের ঢল;
    ঐ শশীও খেলবে, একসাথে সবে,
আসর  যেন, উঠবে মেতে, ওদের হল্লাতে।

  সোনা মানিকদের কেউ, যদিবা খসে পড়ে,
অশ্রু ঝরে গগনের কত, মেঘরে আড়াল করে;
  সে পাড়ার চন্দ্রিমাও, কাঁদে যে অঝোরে,
আসে ও সে কালো, অমাবস্যার শাড়ী পরে।

সূর্যদীপ যবে, দিয়েছে নীরবে, চুপিসারে উঁকি,
    মূহুর্তেই মাঠঘাট হলো আরক্ত সেকি !
    পাখীরা সকলে ধরেছে, কি মধুর গান,
      পশুরা দলে দলে, লুকোচুরি খেলে,
            নেই কারো হুঁশজ্ঞান।

যে শিশির নিদ্রিত, সিক্ত সবুজ ঘাসের সনে,
  দুষ্টু যে আলো বড়, শিশিরেও তা জানে;
রক্ত-সবুজে, সেজেছে সে যে, হবে নিরুদ্দেশ,
ফিরবে আবার যবে, আলোর দুষ্টুমী হবে শেষ।

মেলাতে শত,  জ্যোৎস্নায় মূর্ছিত, বিশ্ব ভরে,
  পশুপাখী যত, মেতে উঠে, গুপ্ত অভিসারে।

     হেমন্তে সর্বত্র, সোনালী ধানের বাহার,
বলে যেন ধরা, প্রিয় তোমরা, নাও এ উপহার।

কাজেকর্মে হয়ে, দিবসে ক্লান্ত, হয়েছে যে সে ম্লান,
রাতের রূপোলী আলোর ঝর্ণায়, ধরিত্রী করে স্নান।