(আমার অনুরোধে ‘জগতের হাসি কান্না ০২’
কবিতাটি অরুন কারফা কর্তৃক সম্পাদিত)

     বৈশাখী ঝড় নৃত্য করে,
      নিত্য যে তার উঠানে,
আহা মরি মরি, সেই বুঝি ভালো,
  মর্ত কহে, ক্ষুব্ধ অতৃপ্ত প্রাণে।

খাল বিল আর, নদী ও নালায়,
         ঝর ঝর বর্ষায়,
  ভরে রম রমে, পানির প্রেমে,
উদ্বেলিত হয়ে, কানায় কানায়।

     উত্তাল সাগর, ক্রন্দন রত,
    সময় যে হয়, অতিবাহিত,
ভাবে একলাতে, বসে মোহনাতে,
        নদী কখন আসে,
     তার কাছে ফিরে শেষে।

           চৈত্রের প্রখরতায়,
ধরিত্রী অসহায়, পড়েছে বড়ই বিপদে,
পিপাসায় ফাটে বুক, শুকিয়েছে মুখ,
      কাঠফাটা প্রচণ্ড রোদে।

আকাশের মেঘগুলো ফেটে পরে রোষে,
    আষাঢ় শ্রাবণ যে অনেক দূরে,
        সমাধান তবে কিসে?

    বসন্তে জগত, সেজেছে অদ্ভুত,
        সেকি হায়, বলা যায়,
    কত রঙ্গের ফুল সাজিয়েছে চুল,
     উজ্জ্বলতায় ভরিয়ে খোঁপায়।

      রঙ্গিন শাড়ী পরে, ধৈর্য ধরে,
         চেয়ে আছে পথ পানে,
             প্রেমের নাগর,
হয়ত অকস্মাৎ পৌঁছে যাবে কোন ক্ষণে।

       নিখিল কেঁদে ওঠে অনিচ্ছায়,
       সূর্য নেবে বিদায় স্বেচ্ছায়,
       সে উজ্জ্বলতা, আঁখি জলে,
         আঁধারে তমসে লুকায়;

    কত যে সময়, তার লেগে যায়,
           ফিরিতে পুনরায়,
    জগত যে হবে আবার উদ্দীপিত,
       মৃদু হাসিতে দেখাবে তৃপ্ত।