টস টসে গাল তার,
   এ যে এক ছোট্ট সোনা মনি;
        মা’র হাত ধরে চলে,
   গায়ে তার লাল জামা খানি।
           হাতে দেখি এক,
ললিপপ, খায় যেন খুব মজা করে,
         রোদ্দুর লাগিবে,
মা তাই রাখে আঁচল মাথার ‘পরে।
             ললিপপের রসে,
গাল, মুখ, ভিজিয়া হইলো গো সার;
          ভিজা গাল মুখ,
মুছে নেয়, মায়ের আঁচলে বারবার।
            কত লোকজন,
এদিক ওদিক, এখানে সেখানে ঘুরে,
          আতুর সে  শিশু,
কান্না করে, পরে না কাহারো নজরে।
            ওর যে কিছু নাই,
নিঃসঙ্গ সে, নাই গো মাতাপিতার ছায়া,
         অন্ন নাই, শুকিয়ে
হয়েছে যেন কাঠ, লাগে বড় মায়া।
             ঐই সোনা মনি
যদিও ছোট, মনটি তার, বড় ভালো;
          শিশুটির কান্নায়,
ওর মনেতে যে দয়ার সঞ্চার হলো।
            ললীপপ যা ছিল,
অবশেষ, যায় এগিয়ে,ওকে দিতে,
          পেয়ে ললিপপ,
প্রাণ উঁপচে পরে খোলা হাসিতে।
            হাসির সে রেশ,
শেষ হয়েও যেন হয় না গো শেষ,
         সে হৃদয় স্পন্দন,
দৃষ্টির অগোচরে হয়ত হয়েছে নিঃশেষ।
           সোনা মনি চলে,
ঘার বাঁকিয়ে বাঁকিয়ে পিছু পিছু দেখে;
           ক্ষুধা তীব্র যত,
তৃপ্তি যে তত, মন ভরে চাখে আর চাখে।
              নিয়তির উপহাস,
ধরায় কেন, কারও ভাগ্যে শুধু দীর্ঘশ্বাস;
           একটি ললিপপ,
তার কাছে, মূল্য এর, লক্ষের আশপাশ।