খুকু বলে, তোমার লেখা কিচ্ছু বুঝি না,
  একদম তা দিয়েছি বাদ, আর পড়ি না।
  কত সুন্দর ওরা লেখে, কখনো দুই ছত্র,
  কখনো চার, কখনো অদৃশ্য বা শুধু পত্র।

      ওসব আমার লাগে বড় ভালো,
            মন দিয়ে পড়ি,
    ঐ রকম লিখবে যদি, তবে পড়ি,
             নইলে আড়ি।
কত বলি, আমাকে একদা, নিয়ে চল, ঐ আসরে,
  মিছি মিছি বল, আগে বড় হও, সব হবে পরে।

  হাতের পেয়ালাটা গেল ভেঙ্গে, মা বলেন রেগে,
বুড়ো যে হলি, এখনো সেই, মা তবে কেন বকে ?
        সেদিন দেখেছি, আসরে এলো,
              পারু, শশী, তরু,
           আবার কেও সঙ্গে আনে,
            মাসী পিসী আইবুড়ো।
খাতা পেন্সিল সব, ঠেলে দিলাম ও পাশে দূরে,
তুমি রেগে যে যাবে, এই তো ছিল আমার মনে।

রেগে বকা তো দূর, তাকাও ঐ সে নীল আকাশে,
দৃশ্য যে লাগে ভালো, দুষ্টুমী করি তো এই আশে।
                  এই নাও বই খাতা,
               আমিও লিখেছি কবিতা,
দেখি আড়ে, ‘তোমার লেখাই পড়ি, মানব দেবতা’।