বহুদিন যায় চলে, ও থাকে, ঐ খাঁচায়,
এনেছিলুম ওকে, অসুস্থ ছিল বিধায়।
না খেয়ে জীর্ণ পাখীটি যে, রাস্তায় পড়ে,
ক্ষুধা পিপাসায় কেঁদেছিলো অঝোরে।

খাঁচায় দেখি ওকে, নাচে মনের হরষে
সময়ে করে গান, বাড়ির সবার পরশে।
বিল্লিটাকে দেখলেই. করে খুব লম্ফঝম্ফ,
বুঝতে পারি, ওর শুরু হয় যে হৃৎকম্প।

আজ হটাৎ দেখি, খাঁচাটি একেবারে শূণ্য,
খুকু বলে, বিল্লিদের ভয়ে, ও হয় অবসন্ন।
দিয়েছি মুক্তি, উড়ে গেল ঐ কদম্ব ডালে
ওখানেও নেই, কোথায় যেন গিয়েছে চলে।

      কাল দেখি, ও এসেছে ফিরে
      খেয়ে দেয়ে, চলে গেছে উড়ে।
    যখন ওর পায় ক্ষুধা, আসে চলে
  নেচে গেয়ে, আবার ঐ কদম্ব ডালে।

আজ হয়েছি অবাক, ঐ কদম্ব ডালে দেখি দু’জন,
কাকে যেন ভালোবেসে, নিয়ে এল একান্ত স্বজন।
পুরনো খাঁচায়, তার কুটীরে, দু’জনেই এসে বসে,
খেয়ে দেয়ে, নাচ গান করে, দু’জনে যে মিলেমিশে।