সবই লাগে যেন, কেমন গোলমাল
সব হচ্ছে উল্টো, হচ্ছে তমসে আড়াল;
মানুষ সকল যেন আর মানুষ নেই
সবি এক, মানুষ যেই পশুও সেই।
পত্রিকার পাতা খুললে আঁৎকে উঠি,
কান্নাকাটি শুধু, তাও সর্বত্র
মানুষ দেখি না, সব ধূর্ত
সবলেরা ধরে আছে, দুর্বলের টুঁটি।
কন কনে শৈত্য রাতে, মানুষ কি পশু
বস্ত্র কে দেবে, তাই যে আঁখি ভরা অশ্রু।
ছেলে মেয়ে সবে, আইবুড়ো কাঁপে কত,
এক ফোটা শান্তি নেই, ওরা যে ভাগ্যহত;
শুধু মুঠো মুঠো দীর্ঘশ্বাসে
ব্যোমের মত কিছু উপহাসে,
নিক্ষিপ্ত আক্রমণে, হয়ে আছে আহত।
রাজপথে ভুখা নাঙ্গা মানব মিছিল
রাস্তায় পড়ে, কত শিশু আর মা,
কত যে বোবা মুখ, কত যে বিড়ম্বনা
বিকলাঙ্গ আরও কত পঙ্গু কাহিল।
জীর্ণ গ্রামে গঞ্জে, যারা করে বসবাস
থাকে তারা পচা মাটি কাদায়
কত যে কষ্টে ফসল ফলায়,
না দেখে সুখ কভু, ভাগ্যের এ পরিহাস।
শিশুরা তাদের অভুক্ত আর পুষ্টিহীন
রক্তচোষা যারা, থাকে মৌজে তুলনাহীন।
বৈষম্যের এ গান বাজে আকাশে বাতাসে
ভালোরা পায় শুধু শুধু কষ্ট
শুধাই কারে, এ কেমন অদৃষ্ট,
আর মন্দেরা বাদ্যের তালে নাচে হরষে।