মৃত্তিকাকে পুড়ে পুড়ে
অসহ্য কত কষ্ট দিয়ে
বানালে তবে লাল ইট;
ভাবলে না কেহ,কত না রক্তমাখা তার গা পিঠ।
স্থাপত্য শিল্পকলা দিয়ে
এ ইটের গাঁথুনি দিয়ে
তৈরী করো এ অট্টালিকা;
কারুকার্য ঢেলে সাজাও,দেখাও শেষে অহমিকা।
ভাবলে না কেউ কখনো
মাটির গা কত ঝলসানো
কত কান্না,কত চিৎকার,
লুকিয়ে এতে,কারও নেই সময় তবে ভাববার।
কি কায়দা করে ঢাকলে
পুরু সে আস্তরণ ঢেলে
চাপা দিলে সকল কান্না;
আড়ালে কি,কে বা দেখে ,সবাই দেখে শুধু যে পান্না।
ইমারতটি তাই হাসছে
আড়ালে অন্তরটি কাঁদছে
কাঁদছে কত মজদুর;
কেউ কি ভাবে তা,এরাও ছিল কত যে শোকাতুর ?
কত বেলা উপোষে রেখে
যৎসামান্য মজুরী দিয়ে,
বানালে,হে স্থাপত্য শিল্পী
এই যে স্বর্গধাম,মাটি তার প্রতিদানে পেল কি ?
যে মাটিতে মানুষ গঠন
যার স্নেহে বাঁচন মরণ;
বুক পেতে করলো ধারন
সেই মাটিই পেল মানুষের নিকৃষ্ট আচরণ।