(১)
কখনও কি তবে চেয়েছি কিছু বেশী
জন্মলগ্ন থেকে তাই ভাবলে উচ্ছিষ্ট
ভাবলে,এতো যাবে পরের বাড়ি স্পষ্ট;
তাই বুঝি, ‘পাই নি কোন সে হাতে খড়ি
ছেলে সম উপার্জন আমিও তো পারি
বানালে প্রস্তর পাত্র সবার সে হাসি’।


কখনও কি তবে চেয়েছি কিছু বেশী
দেখালে বৈষম্য,ছেলে আর আমি মেয়ে
যাব আমি পরের ঘরে তবে পুতুল হয়ে;
ঝড় ঝাপটায় কে দেবে আমায় সঙ্গ
কেন তোমরা দেখালে এমন বৈষম্য
আমি কি চেয়েছিলাম তবে রাশি রাশি ?
               (২)
কখনও কি তবে চেয়েছি কিছু বেশী
করে ঝগড়া অকারণ সে রাতদিন
খেয়ে তবে লাল পানি ফেরে প্রতিদিন;
পকেট শূন্য হলে বেকার সে মস্তিষ্ক
ভাবে,আমি যেন তাদের একটি পোষ্য
এ যেন নই আমি,কিছু মাংসপেশী।


কখনও কি তবে চেয়েছি কিছু বেশী
অফিসে যাওয়ার তাড়ায় ব্যস্ত তিনি
করে উপার্জন,তাই তো ঘরের মনি;
অপেক্ষায় থাকি সারাক্ষণ সে কখন
সুখ না হোক দুখের হবে তো মিলন
কাঁদি আমি,অমাবস্যায় যেমন শশী।
               (৩)
কখনও কি তবে চেয়েছি কিছু বেশী
এই সমাজ ব্যবস্থা আজও তেমন
পুরুষ স্ত্রীর ব্যবধান ছিল যেমন;
বিকলাঙ্গ স্ত্রীরা,এখনো এই আমলে
কেনে বেচে প্রেম ভালোবাসার বদলে
প্রেম ভালোবাসা ওতো ছল,পায় হাসি।


কখনও কি তবে চেয়েছি কিছু বেশী
কারো মনে আজও আসে নি বিবর্তন
জগতে নারীরা করে ভবিষ্য সৃজন;
শিক্ষা বুদ্ধিমত্তায় যদি না গুণান্বিত
সৃষ্টি ধারা হবে সে অচল কলঙ্কিত
সে ঐ একবিংশ শতাব্দীতেও আসি।