মেয়েরাও হয় এমন পাষাণ,ঐশী !
জানতাম পরিবারে তারা নাকি শশী।
সোনার চামচ মুখে নিয়েই তোমার
কেটেছে ষোলটি বসন্ত সুখ পাহাড়।


রঙিন জগতে রেখে পা,কত সন্তান
আজ বরবাদ,নেই সে পরিসংখ্যান।
উত্তর দাও ঐশী,মা তো তুমিও ছিলে
তবু এ পৈশাচিকতা কেমনে দেখালে ?


সন্তানের ভবিষ্যত হোক সে উজ্জ্বল
জীবন তাদের হোক সুন্দর সফল;
বলো ঐশী,কোন্ পিতামাতা না চায় তা ?
বাসেও ভালো,বকে তাই মুখে আসে যা।


তাই করেছিলো একটু নজরদারি
ফেসবুক,মোবাইলে কি সে আহামরি ?
তুমি হলে এতই উত্তপ্ত,ক্রোধান্বিত
হলে বাবামা’র হন্তারক ও গর্বিত।


ঐশী,তুমি রচিলে এমনি ইতিহাস
করলে জন্মদাতা নিধন ও উল্লাস।
জন্মদিনে বাবা কত দিলেন উপহার
পেলে হাসি স্নেহ ছোঁয়া স্নেহময়ী মা’র;


মা’র কত গানে পারলে ঘুম নিশ্চিন্ত
ছুরিতে করে দিলে সবই সর্বশান্ত।
আজ এ কি শশী! শুনে বাবার গোঙানি
আসেনি তবে এক তিল চোখের পানি।


গর্ভধারিণী মা ছুরিতে হলো রক্তাক্ত
কলঙ্ক এ,ছাড়িয়ে গেল যেন পশুত্ব।
কোথায় আজ তবে গিয়েছে নির্ভরতা
হন্তাকারী ঔরস সন্তান,হে বিধাতা !


প্রেম মমতা সবই যেন মিছিমিছি
শক্তিমান তবে মাদক,দুধের মাছি।


Oishi (16), the prime accused
of the murder of her parents,
      August 31, 2013