গরমে নদীতে দিয়ে ঝাপ
   কোনভাবে গ্রীষ্ম যেত কাটি;
কেটে যেত বেলা বৃক্ষ তলে
   বিছিয়ে সে ঐ শীতল পাটি।


যেন শুধু গরীবেরা সবে
   ভালোবাসে এই দেশ মাটি;
আর বৈশাখী গন্ধ পেলেই
   বড়দের স্ফূর্তি ফাটাফাটি।


বৈশাখ হয়েছে আজ যেন
   এক সে ফ্যাশন বড়লোকি;
ঈদ,পূজাতেও আজকাল
   এতো কাপড় হয় না বিকি।


মিহি সুতোয় বুনা কাপড়ে
   শরীর করে যে ঝিকিমিকি;
রবি কি ভালোবেসে ছিলেন
   এমনই সোনার বাংলা কি?


গ্রীস্মের এ ব্যাপ্তি দু’টো মাস
   শুধু বৈশাখের সবি মিষ্ট;
তবু গরীব পায় না খেতে
   ইলিশ;শুধু যে মনোকষ্ট।


আর আড়ালেই পড়ে রয়
   এতো ফলের মাহিনা জ্যৈষ্ঠ;
কোন খুশীই পায় না দরিদ্র
   তবু বৈশাখই যেন শ্রেষ্ঠ।

কত আয়োজন ঘরে ঘরে
   বৈশাখী নাচ,রঙের মেলা;
দামী তরমুজ,কাঁচা আম
   গরীবে করে বিদ্রূপ খেলা।
  
হে গ্রীষ্ম,তুমিও দিলে যেন
   সঙ্গ বিত্তের,দীনে অবহেলা;
শতাব্দীর হেন গ্রীষ্মকাল
   এই বুঝি সোনার বাংলা।


রচনা কাল:মে ১৪,২০১৪