শুনিনা এখানে পাখিদের কিচির মিচির
নেই সে আম্রকানন,নেই শীতল পবন;
দেখি না ঐ প্রেম যুগল, ঘাস আর শিশির
ছকে বাঁধা এ শ্বাস,প্রবাসে এইতো জীবন।


কেউ ডাকে না ‘খোকা’,আয় করবি প্রাতরাশ’
নিশিতে কেউ বলে না ‘এখনো আছিস জেগে’?
চলছে তো এমন করেই মাসের পর মাস
মা’র মতো দেয় না খাবার কখনো যে ব্যাগে।


ফাষ্টফুড,চটকদার খাবার পাই সর্বত্র
শাক ভাত মানুষেই খায়,গেছি যেন ভুলে;
মাছের ঝোল শুটকি ইত্যাদি আরও যত
খেয়েছি কভু,মনে নেই ব্যস্ততা কোলাহলে।


থাকি বিশাল অট্টালিকায় শীতাতপ ঘরে
জীর্ণ কুটীরে বৃষ্টিতে ভেজা কাঁথা বালিশ;
বাবা মা শিশু এখনো রয় নির্ঘুম রাত ভরে
আমরা আজো পাইনি আধুনিকতার আশীষ।


এ ‘কষ্ট জ্বালা’শব্দ নেই এদের অভিধানে
দেখিনি আহাজারি,দেখিনি কেহ পাতে হাত;
নির্বিঘ্নে চলাফেরা শঙ্কা নেই কারও মনে
রাত পোহালে দ্বারে আবার রঙিন প্রভাত।


সোনার বাংলা এমন,দেখিনি এ বিশ্বজুড়ে
প্রতীক্ষায় সময় কাটে প্রবাসের বেড়াজালে;
মনে হয় সব ফেলে চলে আসি উড়ে উড়ে
জানিনা ফিরবো কবে মা’র আঁচল তলে।