পেয়েছি তো সবই,দিয়েছে এ পৃথিবী
    সে প্রাণবায়ু এই বাতাস
    বিশাল ছাদ এই আকাশ;
    দিয়েছে ভূমি ফলাতে শস্য
    বাঁচতে,খেয়ে পরে পোষ্য্
আঁধারে ঐ চাঁদ,দিয়েছে দিনে ঐ রবি।


হাতখানি ছিল শূন্য,এসেছি যখন
    লোকবল সেতো শুধু আমি
    পরে দিলে এই জমাজমি;
    দিলে আরো কত মোতি হীরা
    দিলে বৃক্ষলতা তারই গড়া
এতো উদার সে,তবুও নাকি কৃপণ।


ছোট আর বড়,এতো গড়েছে মানুষ
    কেউ কাঁদে আর কেউ হাসে
    কেউ বিলায় কেউ বা শোষে;
    কেউ কঠোর কেউ হৃদয়বান
    কেউ শত্রু কেউ প্রাণের প্রাণ
কেউ দীন,কারো আবার থাকে জলুস।


ঐ আকাশে হাসে কত মিটি মিটি তারা
    ভূমিতে নদীনালা ঝর্ণা শত
    পাহাড় পর্বতও অগণিত;
    বনজঙ্গল আরো যে কত কি
    নানা প্রাণী কত সে পশুপাখি
কি নেই ? সব কিছুতেই এ জগত ভরা।


যাবার বেলায় ভারী তাই মনখানি
    দিলে তো তুমি উজাড় করে
    দিতে পারি নি জনম ভরে;
    ভরে গেলাম পঙ্কিলতায়
    সর্বত্র সে কোণায় কোণায়
শুধু পেলাম,হয়ে গেলাম চির ঋণী।


(অরুণ কারফার ‘ঋণ পরিশোধ’
       কবিতা অবলম্বনে।)