সবাই জানি তুমি কতটুকু পারো
পারো কেড়ে নিতে,নিমিষে তছনছ
দরিদ্র যারা,কতই না নিরলস;
বেঁধেছিল ঘর তাও খড় কুটোর
হৃদয় কাঁপে এলে ঐ বৈশাখী ঝড়
যদিও আকুতি,‘প্রভু রক্ষা করো’।


পরের বাড়িতে কাজ করে ‘ললনা’
আঁচলে বাঁধে কখনো উচ্ছিষ্ট ভাত
স্বামী সে অসুস্থ,কাশে সারাটি রাত;
উঠন্ত মেয়ের নেই স্কুল,কৈ টাকা
দুধ শিশু কাঁদে,কখন হবে চাখা
পারো গুঁড়িয়ে দিতে কামনা বাসনা।


সবাই জানি তুমি কতটুকু পারো
সেবার পাঠালে কত রুদ্র সুনামি
নিয়ে গেল শ্বাস,ফেলে বিরান ভূমি;
সাপের মতো ফণা তুলে এলো জল
সাধ্য কার তবে বাঁচে  সে এক পল
আবর্জনা যেন তুমি করেছো জড়ো।


ঐ যে দ্যাখো,যাদের দিয়েছো বৈভব
মন্দির মসজিদে পাবে না তাদের
হয়েছে তারাই ললন সুখ খদ্দের;
বাঁকা হাসি হাসে,বিজয়ীর কাতারে
যন্ত্রণা আগুন ভয়ে,সতত দূরে
সেখানেই যেন তুমি পাও সৌরভ।


            রচনা:২০১৩