ছাপ কবিতায় জীবনের ঐকতান শুনি


ছাপ কবিতায় কবি তমাল ব্যানার্জি সমুদ্রতটের  দৃশ্যপটে জীবনসমুদ্রের চিত্র তুলির আঁচরে তুলে আনার প্রয়াস পেয়েছেন। তিনটি চিত্রকল্প কবিতায় বর্ণীত হয়েছে। এ যেন জীবন নাটকের তিনটি দৃশ্যপট।
প্রথম দৃশ্যে আমরা দেখি সাগর সৈকতে মায়ের হাত ধরে ক্রিড়ারত বিস্ময়ে বিভোর একটি ছেলে। এ দৃশ্যে জীবনের সৌকর্য, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য,আরাম-আনন্দ প্রতিকী রূপে দারুণভাবে এসেছে।
দ্বিতীয় দৃশ্যে বেলুন বিক্রেতা কিশোর আর তার সমুদ্র সমান অভিমানে জীবন সংগ্রামের তিক্ততা ও বন্ধুরতা যথার্থরূপে পেয়ে যাই।
তৃতীয় দৃশ্যে আসে পিতার অস্থি সাগরে ভাসাতে ন্যাড়া মাথার নাবালক। এখানে ওঠে আসে জীবনের শেষ পরিনতি মরণ।


পরিশেষে কবি উপসংহার টেনেছেন, এই যে জীবন –মহা জীবন । এর চলন ছন্দময়।
সাগরের ঢেউ বালুকা তটের চিহ্ন মুছে দিতে পারে কিন্ত মানব জীবন যে ছাপ রেখে যায় মরণ তা মুছে দিতে পারে না। কেননা পিতার কল্যাণে কৃতজ্ঞ পুত্র সাগর জলে অস্থি ভাসিয়ে যায় এবং যাবে। তিনটি বালকের তিন দৃশ্যপটে জীবন সমুদ্রের যে ঐকতান কবি শুনিয়েছেন তা অভিনব। আয়ূধ হিসেবে নেয়া বল, বেলুন, অস্থি গূঢ অর্থবহ।
সবশেষে বলি, ছাপ কবিতা আমার অন্তরে ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছে। আপনারও কি তাই?