বেশ কদিন ধরে খুঁজে খুঁজে কষ্টগুলোকে
এক উঠোনে জড়ো করছি
জড়ো করছি না বলে করার চেষ্টা করছি বলাটা বরং ঠিক হবে।
প্রিয় বন্ধুর অকারণে ভুল বুঝে দূরে সরে যাওয়ার কষ্টটাকে
কোন রকম উঠোনে দাঁড় করালাম....
ওমনি দেখি ডানে দাঁড়িয়ে ঝিমোতে থাকা
পরীক্ষা ফেলের কষ্ট টা কোন খেয়ালে সরে পড়েছে।
সারাদিন কাজে যাওয়ার ফাঁকে, তরকারীতে লবন চাখার ফাঁকে মনের এ কোন, ওকোন সব কোন থেকে
দুমড়ে যাওয়া, অতি ব্যবহারে গুড়ো হয়ে যাওয়া,
অব্যবহারে গায়ে শ্যাওলা পড়া,
এমন নানান আকারের কষ্ট গুলোকে খুব যত্নে
হাতের তালুতে তুলে তুলে এক করেছি।
কিছু কষ্ট তো হঠাত এমন অযাচিত মনোযোগ আর আদর পেয়ে কেঁদেই বুক ভাসালো।আবার কিছু আছে ভীষন অভিমানী। আদর করে ওদের আনা গেলো না।
শেষ মেষ টেনে হিঁচড়ে উঠোনের মধ্যিখানে ছুঁড়ে ফেললাম। মোটামুটি সব টা যখন শেষ হয়ে আসছে বলে মনে হলো
তখনই হঠাত হৃতপিণ্ডের ঠিক মাঝখানে
লাল টকটকে কিছু একটা জ্বলজ্বল করে উঠলো।
চমকে উঠলাম। দেখেই খুব বোঝা যায় এর বয়স কম, খুব তাজা কোন কষ্ট, অথচ একদম চিনতে পারছি না।
নতুন কোন কষ্ট....! কি হতে পারে?
ভাবতে ভাবতে আনমনে ওর গায়ে হাত ছোঁয়ালাম। আর কি ভীষন এক ঝাঁকুনি দিয়ে শরীরটা অবশ হয়ে এলো।
ঠোঁট দুটো কেমন নীল হয়ে ছাই রঙ নিলো....
মূহুর্তে চিনলাম ওকে,
নিশ্বাসের আসা যাওয়ার মাঝেই যার বাস তাকে ভুলি কি করে
কি করে ভুলি তোমায়.......?