শীতার্ত এ-পৃথিবীর আমরণ ক্লান্তি বিহ্বলতা ছিঁড়ে
নিঃসঙ্গ মুখের রূপ, জানবে না কোনোদিন
কলরব ক’রে উড়ে উড়ে-
এই নরদেহ জলে ভেসে যায় ।
ব্যথা আর কুয়াশার ঘরে প্রশ্ন আর চিন্তার আঘাত
বুকে নেই আকীর্ণ ধূসর, রূপসীর সাথে এক;
পৃথিবীর ক্লান্ত বুকে; আমার তোমার গান-
মিথ্যা ছলনার অভিমান।
জানো নি অনেক যুগ চলে গেছে, মরে গেছে অনেক নৃপতি!
কতো কাল আর তার গতি ;
তুমি স্বপ্ন দেখনি তো ?
তুমি পিছে দেখো না, তোমার অতীত নেই, স্মৃতি নেই
চিতা ভস্মসম পবন উড়ায় ।
শীতার্ত এ-পৃথিবীর আমরণ ক্লান্তি
ব্যথা আর কুয়াশার ঘরে প্রশ্ন আর চিন্তার আঘাত
সন্ধ্যার নদীর ঢেউয়ে আসন্ন গল্পের মতো ,
ধবল ফেনার মতো নেচে উঠে আনন্দ জানায়।
এই নারী এর ও এই পরিনাম
শিলা গহ্বর থেকে অন্ধকার, তরঙ্গে- তরঙ্গে করিছে আহ্বান।
ধানের ক্ষেতের গন্ধ মুছে গেছে কবে
বিক্ষত খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে নক্ষত্রেরা বাতি জ্বেলে জ্বেলে
রবে চিরকাল যেন কাছাকাছি।
তুমি স্বপ্ন দেখনি তো ?
কেন মৃত্যু খোঁজো তুমি? এই ফাল্গুনের ছায়া-মাখা ঘাসে শুয়ে
কাশ আর চোরকাঁটা ছেড়ে দিয়ে ফড়িং চলে গেছে ঘরে ;
চিতা ভস্মসম পবন উড়ায়ে।
চলে যায় চুপে চুপে সোনালি খড়ের বোঝা বুকে–
শান্তি তার রয়েছে সমুখে;
পৃথিবীর ক্লান্ত বুকে , তুমি স্বপ্ন দেখনি তো ?
অঘ্রাণের রাতে , একবার — দুইবার — জীবনের অধীর আঘাতে
যে প্রেম চলে গেছে তারই হাত ধরে!
বিক্ষত খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে নক্ষত্রের বাতি জ্বেলে
তুমি স্বপ্ন দেখনি তো ?