একটি গল্প ইতিহাস হতে চললো। প্রথমে তারা গল্পটির মুখ চেপে ধরলো, হাত কামড়ে সেখান থেকে মুক্তি পেলো গল্পটি। পরে চোখ বেঁধে প্রতিনিয়ত আঘাত করতে থাকে তাতে, আমানুষিক অত্যাচার আর রক্তের দাগে লেখা হতে থাকলো প্রতিটা লাইন। রক্তাক্ত বর্ণগুলো তবুও হাসতে থাকে ইতিহাসের অপেক্ষায়। হুম  গল্প সে  ইতিহাস হতেই চললো।


গল্পের প্রতিটা দাড়ি কমা আর্তচিৎকার করতে থাকে, কখনো গল্পটা থেমে যেতে চায় পরক্ষণেই প্লট পেয়ে হাটতে থাকে নিজ গতিতে। কারণ গল্পটা ইতিহাস হতে চললো।


আকাঙ্খা আর প্রত্যাশা লুকিয়ে থাকে গল্পের প্রতিটা শব্দের পরতে, কখনো হু হু করে কেঁদে ওঠে কখনো নিশ্চুপে, কখনো ঘৃনায়  উলটপালট হয়ে যায় শব্দবহর। তবুও মুচকি হাসে কারণ গল্পটি যে ইতিহাস হতে চললো।


গল্পের নায়করা নাছোড়বান্দা, ঘাড়ে প্রচন্ড তেজ, ওরাই এই ইতিহাসের নায়ক, ওরা পা হারিয়েও দিব্যি দৌড়ে যেতে পারে, নখরবিহীন হয়েও থাবা বসাতে পারে নরপিশাচের মস্তকে। ওরা কখনো শিহরিত হয় আবার মুচকি হাসে তা না হলে তো গল্পটা ইতিহাস হবে না।


গল্পটা প্রায়ই ইতিহাস হতে চললো। একদিন কিছু নরপিশাচ গল্পের মেরুদন্ড সজোরে আঘাত করে, ছিটকে দুদশক পিছেয়ে পড়ে গল্পটি, লুটিয়ে পড়ে মাটিতে, তবুও গল্প যে নাছোড়বান্দা সে ইতিহাস হবেই। অবশেষে গল্পটি ইতিহাস হলো।


16 ডিসেম্বর 2015