দিন শেষে জাগতিক যাতনামাখা আমার খোলস ;
বেসিনে আয়নার সামনে দাঁড়ায়
আয়নায় প্রতিবিম্বিত হয় আমার মায়াবি গাঢ় কৃষ্ণবর্ণ চোখ ;
চোখের ভিতরে সমুদ্র
নিদ্রাহীন রাত পাশ কাটিয়ে লালচে চোখে রচিত হয় সমুদ্র পদ্য
পাড়ে আচড়ে পরা দ্রুত বেগে ধেয়ে আসা ঢেউয়ের মৃত্যুর শব্দ শুনি
দু'য়ে দু'য়ে চার মিলাই তাড়াহুড়ায় জীবন দ্রুত ফুরিয়ে যায় ৷


রাত গভীর হয় আলোর ফোয়ারার নেচে ওঠে ষোড়শীর দেহ
গবলেট ভর্তি রেড ওয়াইনে ভেসে ওঠে পাল তোলা জাহাজ
আলো আধারির ঘোরলাগা ছদ্মবেশী রাতে
অচেনা দ্বীপ ঘেষে নোঙর করা জাহাজ আপন মনে হয়
শত শতাব্দী আগে কার্বনহীন পৃথিবীর কোন এক কোণে
হয় তো পোতা ছিলো আমার শিকড়
তাই প্রলুব্ধ মস্তিষ্ক আঁকে অলীক ছবি
উদোম নৃত্যে করেছে তারা ঈশ্বরের আরাধনা
কামনায় আলিঙ্গন করেছে নরীর নগ্ন রঙিন কম্পিত দেহ
জাহাজ যাত্রায় আদিম পাত্রে ভাসিয়ে দিয়েছে অচেনা ভাষার চিরকূট
কোমল ছন্দায়িত তরঙ্গে বয়ে চলতো তাদের জীবন


সম্বিত ফিরে পাই , দুঃস্বপ্নের চাকায় থেতলানো সকাল ফিরে আসে
সংবাদপত্রে চেয়ে দেখি শত শতাব্দী আগের বিলুপ্ত বর্ণমালার পাঠোদ্ধারে ব্যস্ত এক দল বিজ্ঞানী. . .