অস্ত পারের রাস্তা ধরেই বোঝাই গাড়ির চোরাপথ,
ঈশান কোণে মেঘ ধরেছে হেঁচকা টানে চলে রথ,
চোরাচালানের সে পথ গিয়াছে মানব গঞ্জ দিয়া,
দীপ্ত শিখা জ্বালাইবে কে সে থরথর কাঁপে হিয়া,
বিদ্রোহী ভাষী সবাই এথা ভাষা হীন প্রেতাত্মা,
জাগ্রত কবি লিখবে কবিতা সে ও দেখি লাপাত্তা।
উঠবে অরুণ জাগবে তরুণ কুসুমকুমারীর ছেলে,
সেও তো আজ খেলনা হাতে অস্তপারে খেলে।
কাজে তো সে বড়ই ভীষণ কথার কি আর বাদ,
তার হুংকারে বন্য প্রাণীরা ভুলে হিংস্র নাদ।
ছদ্মবেশী কালবৈশাখী ভাংচুর যে তার খুব,
সুখ কুড়াইতে কূপব্যাঙ খানা সাগরে দিয়াছে ডুব।
দানবীয় ক্ষুধার হাহাকার যখন চারিপাশ করে গ্রাস,
পাখপাখালির কলোরবে বাজে ভয়াল হা-হুতাশ।
বিশ্ব নিখিল তৃষিত কণ্ঠে মাগিছে শান্তি সুধা,
মানব রূপী দানব বহিছে পেটে রাক্ষসী ক্ষুধা।
অপরাহ্নের রক্তিম আভা যবে গায়ে মেখে থাকে,
নিজের ছায়াটা বিকট শব্দে হেঁসে ওঠে উপহাসে।