তোমাকে আজও আমি ভুলিনি
বাঁধিনি আমার অশ্রু সজলে
অশ্রু সজল সে তো কেবলই বাহ্যিক ফলন
তুমি আছ আমার সজলের তলে
অপ্রকাশিত কাগজে কলমে।


তোমার খস খসা শক্ত হাত
আমার শরীরের ভীতরে
আনন্দ ধারা বয়ে যেতো,
তোমার কন্ঠ স্বর আজও আমার প্রানে বাজে
নিঃশব্দ ঝর্নার মতো।


আমার ছোট একচালা ঘরটাই ভাল লেগে ছিল,
সাদা একটা দুধওয়ালা গরুও ছিল।
ঘরটা দুই চালা থেকে তিন চালা হল
সব সুখ চলে গেল।


তুমি নেকড়া গামছায় আমার মুখ মুছিয়ে দেও,
আমার স্যান্ডেল সেলাই করে দেও,
আমার মাথার চুল বড় হয়ে গেছে,
আমি চাই তোমার হাতেই কাটো।
আমি চাই,
তোমার ক্লান্ত ধূলি মাখা চড়নের এক বিন্দু উড়ে যাওয়া ধূলি,
আমার এই অবাধ্য জীবনের শাসনতে।


রাখিনি তোমায় মূর্তি সাজিয়ে
রাখিনি দেয়ালে ছবি বাধিয়ে
পড়াইনি মালা প্রাত বেলা,
ধরিনি ধূপ,
আমার ব্যাথিত বুক।


সব কিছু আমার ভীতর থেকে বদলে যাচ্ছে।
তোমার হাত যে আজও আমাকে ডাকে,
তোমার হাতের সেলাই করা স্যান্ডেলে
পথ চলতে আমার আজও ভাল লাগে।


কত পথ যে বাকি,
আমি চলবো কি করে!
আমি পাড়বো না, থেমে যাব।
রেখ তোমার পদচিহ্ন
এই অভাগার তরে।
আমাকে সাহস দেও, শক্তি দেও
আমি যেন তোমারি দেখানো পথে
হাটতে পারি তোমারি সাথে।


আমাকে ছোট ঘরখানা এখনো ডাকছে,
যেখানে আকা হতো সবই ছবি একই ক্যানভাসে।
রাত্রি কাটতো একই চালের নীচে।
দুটি পাটাতন জীবনের ভীতর দিয়ে সমীকর বরাবর চলে গিয়ে
সৃষ্টি করেছে নতুন অসমীকরণের বিভেদ।
সূর্যের আলো তিনটি ঘরেই পরে
কিন্তু দেখা যায় না,
একই জলে ভাসতে
একই জলে হাসতে
গাথা যায় না মালা
একই সুতায় ভালবাসতে।