দাদীর ঘর.....
      
হঠাৎ একদিন দাদী বলল,
ও চেঙরা বয়স কি রে তোর?
আমি বললাম
উড়তি বয়সে বাড়তি নাচন,
বয়স আমার জানে কোন জন,
এই ধরে  নাও ষোল।
      
দাদী বলল
ষোল ছোঁয়া  বয়স তোর উথালপাতাল মন,
কত জনারে ভুলিয়েভালিয়ে করেছিস আপন ?
বলতো দেখি আমায় ।
আমি বললাম হেসে দিয়ে,
কি যে তুমি বলো।
করবো কাকে আপন আমি,
বয়স যে আমার ষোল।
      
আচ্ছা দাদী তুমি কি ষোলোতেই ডুবেছিলে জলে?
ফোকলা দাঁতে হাসলো দাদী,
বলল আমায়, বয়স যখন ষোলোর ধারে,
আমি তখন তোর দাদার ঘরে,
ঐ পনেরোতেই হয়েছিল বিয়ে।
    
আমি বললাম প্রেম করোনি তবে ?
দাদী বলল,
অতোশত বুঝিনি তখন,
পুকুর ঘাটেই সঁপেছিলাম মন।
তোর দাদা রোজ রাতে সেখানেই যেত।
    
আমি বললাম
দাদী তুমিতো দুষ্ট ছিলে ভারি,
কথার ছলে বাহির হয়ে,
করতে মন চুরি।
    
বলতো দেখি কি করতে তোমরা রাতে ?
হেসে হেসে বলে দাদী,
করবো কি রে আর,
পুকুরঘাটে নৌকোয় করে,
হতাম পারাপার।
    
আমি বললাম, আর কি করতে, আর।
দাদী বলল
পুকুরের ঐ লাল পদ্মের মালা গেঁথে দিয়েছি
তোর দাদাকে দু'চার বার।
আর কিছু না।
    
আমি তখন হাসলাম চুপি,
বললাম দাদী,
ও দাদী...
বলো না গোপন কথা,
কত বার দাদা তোমায়,
ছুঁয়ে দিয়েছে ব্যথা ?
বলো বলো।
  
দাদী তখন পান চিবিয়ে, পড়ে হেসে গলে,
তোর দাদাকে একদিন আমি,
ফেলে দিয়েছিলাম জলে।
তারপর কি হলো, বলো...
দাদী বলল
কি আর হবে, তোর দাদা সাঁতরিয়ে সাঁতরিয়ে ওপাড় ধরেছিল ,
রাগ ছিলো তিন দিন।
    
আমি বললাম
কি হয়েছিল তিন দিন  পর ?
দাদী বলল
লাজ শরম গিলে খেয়ে, সেই তো চিনেছিলাম
তোর দাদার ঘর।