প্রিয় অজানা
জীবনের শেষ প্লাটফর্মে দাড়িয়ে,
শেষ ট্রেনের যাত্রী।
বৈকালিক অাভা শেষ হতে না হতেই তলিয়ে যাবো নিকষ আঁধারের দেশে।
যে টুকু আলো বেঁচে আছে আজ,
সে টুকুই গিলে নিয়ে লিখছি তোমায়।
ক্ষমা করো -
ক্ষমা করো আমায়।
অবিরল চলতে থাকা মঞ্চায়িত জীবন নাটকের শেষ মঞ্চ থেকে বলছি,
নিত্যকার অভিনয়ের অবসান ঘটিয়ে এক ঝলসানো সত্যের প্রয়াস।
ভালবাসি......
যে কথাটি বার বার জলদস্যুর মতো হানা দিয়েছি মনে,
সজোরে ধাক্কা দিয়েছে হৃদপিন্ডের কপাট খুলে,
আমি তাকেই চিবিয়ে খেয়েছি মরমর করে।
থেমে গেছি, গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে।
তবুও, অন্তত একটি বার জিগ্যেস করতাম,
যদি সে মানুষটি তুমি না হয়ে অন্য কেউ হতো।
সময় হলো কোথায়?
বেড়ে উঠা সময়ের সাথে ঘন্টায় রিকশার হাল ধরে কি পেলাম তোমার কাচের শহুরে?  
বলতে পারো?
পেয়েছি,
আমি পেয়েছি যা তা কোন দিন তোমার অস্তিত্বও টের পায় নি।
কেবলি অালপিন বিঁধানো এক অসীম যন্ত্রণা।
যা অসময়ের হাতুড়ি হাতে অদৃশ্য কেউ একজন ঠকঠক করে পিটিয়ে যাচ্ছেই অনবরত।
এত করে কেন বলছি এসব,
বলতে পারো?
তলিয়ে যাচ্ছি বলে।
ভেবো না তুমি -
যা পেয়েছি, যতটা শিখেছি তার সবটাই আমি গোপনেই পুষবো।
চোখে মুখে চাষ করবো জ্বলন, জ্বালাপোড়া।
কারও ধারে কাছেও যাবো না স্বান্ত্বনার বাণী শুনতে।  
অন্তত এইটুকু নিয়ে যেতে পারলাম তোমার থেকে এ যে খুব বড় পাওয়া আমার।
আজ খুব করে দৃশ্য মনে হচ্ছে সেইসব,
জলছবির মতো টলমল করে ভাসছে চোখের কোণে।
খুব বেশি দূরে নয় নিবাস,
শ্বাসকষ্ট হচ্ছে প্রচন্ড, হাঁফাচ্ছি।
বলা ছিল অনেক,
বারবারই হাত ফসকে পড়ে যাচ্ছে কলম,
কাঁপছি এতো।
ভয়!
বুকে পিঠে পাথরের মতো চাপা  দিচ্ছে নিজের সাক্ষ্য গুলি। তাকেই আজ খুব আপন মনে হচ্ছে, ও ডাকছে আমায় নির্জনে ইশারায়।
আর হাত চলছে না কাগজের ভাজে । অনায়াসে ভিজে যাচ্ছে মুখের ভাষা,
এলোমেলো কিছুটা ঠিক করে নিও।
নিজের খেয়াল রেখো, যত্ন নিও ঘরের।
                         ইতি,
                         অসময়ে দ্যাখা এক পরিত্যক্ত ঘাটের,
                          - ক্লান্ত মাঝি।