ডুবে আছি তরঙ্গ সাগরে (07-10-2017)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
গাণিতিক নিয়ম যেনো লক্ষ্মীর ঝাঁপি,
হারায় না কোন ধন,রূপান্তর শুধু ।
লব ও হর একই সংখ্যা হলে--
ভাগফল এক,আটকে যাই পূর্ণ সংখ্যায় ।
শূন্য ঝাঁপি কখনও হয়না ।


আর ঋনাত্মক সংখ্যা গুলো ?
যেখানে জিরো স্ট্যান্ডার্ড সংখ্যা,
তাপমাত্রা নিচে নামলেই---
জল জমে গিয়ে কঠিন বরফ।
জিরোর উপরে হলে,---
বরফ গলে জল ।
যতই মনে হোক--
ব্যাপারটা জলবৎতরলং ,
আদতে কি তাই ?
ঋনাত্মক ও ধনাত্মকতা বোঝায়---
কার পকেটে কত রেস্তোর জোর ।
হায় সুখ,হায় দুঃখ
পরিমাপে নেই কোন যন্ত্র,ক্যালোরিমিটার ।
কলনে ক্যালকুলাস মনের গভীরে ।


যেটুকু পেট পূজোয় লাগে---
কিছুটা চলে যায় সেপ্টিচেম্বারে ।
বাকি টুকু রক্ত ধুকপুকি হয়ে কোষে কোষে,
তরঙ্গের মুক্তি ঘটে মাইটোকন্ড্রিয়ায় ।
তরঙ্গ ছড়ায় মহাকাশে ।


অন্তর্জালের যুগে---
ইনল্যান্ড লেটার দিশেহারা,
এ মায়াজাল আজ মায়াপাশ ।
আয়ুধ কোথায় গেছে,নাগপাশ ?
বেঁধে ফেলে জনে জনে ।
নেই,আজ কোথাও দেখিনা !
এসে গেছে হাইড্রোজেন বোমা ,
ছুলি নয়,নয় বিখাউজ।
রেখে গেছে স্হায়ী ক্ষত,
হিরোসিমা নাগাসাকির দেহের গভীরে।
তবে কোন মাধ্যমে আছি ?
ইথার মাধ্যম হয়ে যেমন বজ্রনাদ আসে,
আজ আসে রিংটোন স্মার্টফোনে ।
বার্তা বয়ে আনে শুভ অশুভ ।


এখন ডুবে আছি তরঙ্গ সাগরে,
অসীম পাথারে ভেসে আছি ।
চাই ভেসে ভেসে পার হই,পারাবার ।
আলট্রা ভায়োলেট,ইনফ্রা রে বা সাধারণ আলোর সমুদ্রে---
বইঠা চাইনা,স্পিডবোট আছে ।