স্থায়ী ও ক্ষণস্থায়ী দাগ (19-01-2018)


রণজিৎ মাইতি


--------------------


কিছু অনুভূতি ক্ষণস্থায়ী দাগ রেখে যায়,


মুছে যায় সময়ের ইরেজারে একদিন


চন্দ্রকলার হ্রাস-বৃদ্ধি,জোয়ার-ভাটার মতো
প্রকাশ্যেই আবছায়া খেলে


এ খেলা বিলিয়মান রঙের খেলা
এই আছে এই নেই,যেন জাদুকরী মায়া
বাজিগর জানে,তবুও জীবন এগিয়ে যায়
মন্দাক্রান্তা তালে।হেঁইও হেঁইও হেঁইও হেঁই


তাম্বুল পাতা ভেবে করি চর্বিতচর্বন
অধর ও রসনা রাঙা তাম্বুলরাগে
সে দাগও ক্ষণস্থায়ী


চিরস্থায়ী দাগ কি থাকেনা ?
জড়ুলের মতো আমরণ বয়ে যেতে হয়
হয়তো চামড়া হয়েছে মোটা স্নেহের ভারে
অভিনব আয়োজন আর অভিযোজন
যে ধান ফলেছে মাঠে,ব্যতিক্রমী চাষ
তুলে নিয়ে যায় চাষি ঘরে,আর খড়কুটো
কিছু ধান ঝরে গিয়ে গভীর ফাটলে ঢুকে গেছে
তবু বলে যায় কাছে এসে বীজ,নগণ্য নীবার
গর্ভগৃহে যতোই কষ্ট পাই তবু বেঁচে আছি
বেঁচে আছি ফল্গু স্রোত বুকে


বেঁচে আছি এই বোধ
বোধেরও অজস্র বোধ,অগণিত মুখ
বলিরেখা মুখে,বসন্তের দাগ ফুটে আছে
যে বোধের ভারে--- ন্যুব্জ আজ দেহ।


টেনে নিয়ে যায় দেহ,
পুরনো মলিন দেহে ফুটে আছে কাঁটা,
পায়ে নয়,হাতে নয়,দেহ ত্বকেও নয়
অগণিত কাঁটা ফুটে আছে গভীর হৃদয়ে
ব্যথা আছে,কাঁটা ফোটার যন্ত্রণা আছে
বুঝি সেখানেই জীবন আছে জীবনের কাছে