আমি এক হিন্দু!
------- রঞ্জন গিরি।
হিন্দু আমি বিন্দু হয়ে
                থাকবো চিরকাল,
গোঁড়া চিন্তা খাঁড়া করে
           পাইনি  সিন্ধুর নাগাল।


ফুর্তি করে মূর্তি পূজি
               আগুনে ঢালী ঘি,
ফ্যাটের অভাব পেটে ঘা
            আমি করি এখন কি?


পুষ্টির অভাব ষষ্টি পূজে
              আমি শিশু মৃত্যু রুখি,
ছিঁটে জল ঘেঁটে কুষ্টি
              সদা মন্দ ভালো দেখি।


পড়লে জ্বরায় করি কীর্তন
                   মন্দিরে যাই সোজা,
ব্রতী হয়ে প্রতিটি বছর
                    দেবতার করি পূজা।


সাজিয়ে ফল বাজিয়ে ঢোল
               তা নিবেদন করি জলে,
ভূখ লাগে তাই ঢোক গিলে
              আমি শুকাই পলে-পলে।


জটা মাথায় ফোঁটা কেটে
          যদি আসে কেহ মোর দ্বারে,
বাপের পেটে ন্যাকড়া সেঁটে
          আমি যে দক্ষিণা দেই তাঁরে।


বিশের ব্রাম্মন আশির বৃদ্ধার
              চেয়েও নাকি খুব হয় দামী,
বুড়ো লুটাই ছুঁড়োর শ্রী পায়ে
                তাই মাটিতে শুয়ে প্রণমী।


আমি খেয়ে জল চেয়ে দান
             দেবতার মন্দির গড়ি শ্রমে,
ছিটার আবাস হয় বন্ধ স্বাস
             তখন  টাকা ওড়াই ডোমে।


আড়ি পেতে বাড়ির বৌ
               যদি সে চুপটি করে থাকে,
ওঝা ডেকে ঝাড় ফুঁকে
                 আমি কথা বলাই তাঁকে।


যেথায় সেথায় গুজব কথায়
                     মাথা গরম করে চলি,
মামলা করে ঝামেলা পাকিয়ে
                      হিংসার হয়ে যাই বলী।
                 ------- রঞ্জন গিরি।