একই অন্নে প্রতিপালন
পেয়ে একই স্নেহ,
প্রীতির পাগল হয় কেউ
হিংসায় জ্বলে কেহ।
গোলাপ চারা পুঁতে কেহ
ভরাতে চায় ফুলে,
ফুলদানিতে সাজায় কেহ
বৃন্ত থেকে তুলে।
জীবন দানে খুশি কেহ
চোখে ঝরে দীপ্তি,
মানুষ রক্তে করে স্নান
কেহ পায় তৃপ্তি।
জল বাতাসা পায়না কেহ
হাড় খাটুনি খেটে,
মাংস খেয়ে আড্ডা জমায়
শান বাঁধানো ঘাটে।
ছাদের উপর ছাদ বানিয়ে
কেউ আকাশ ছুঁতে চায়,
জীর্ণ মাটির দেয়াল কেহ
রাখে বাঁশের ঠেলায়।
ঠান্ডা ঘর কেহ খুঁজে বেড়ায়
একটু সামান্য গরমে,
প্রখর রোদে কেটে মাটি
কেহ স্নানটি সারে ঘামে।
ক্ষুদার জ্বালা ভুলতে মনে
কেহ একাদশী ভাবে,
কেউ বদলায় খাদ্য প্রতিদিন
নিজের আত্ম গৌরবে।
কেহ ভর্তুকি পায় রেশনে
তাদের বেতন দেয় সরকার,
কেউ ক্ষুদ পায়না রোজকারে
ভেঙ্গে যায় তার সংসার।
শীতে কেহ পশম দিয়ে
মুড়ে রাখে দেহ,
পশুর মতো খালি গায়ে
রৌদ্র পোহায় কেহ।
ভাবতে মনে অবাক লাগে
বিচিত্র এই দেশ,
একদল ভাসে চোখের জলে
আর একদল আছে বেশ।
            -------- রঞ্জন গিরি।