ডেঙ্গু জ্বর আসছে তেড়ে,
আতঙ্কিত শহর জুড়ে।
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে,
কষ্ট হয় শ্বাস-প্রশ্বাসে।
বমি বমি ভাব গাঁট যন্ত্রণা,
হটাৎ রেশ দেয় যে হানা।
নাক দাঁতে রক্ত আসতে পারে,
চোখের তলায় দাগও পড়ে।
অনুচক্রিকা কমতে থাকে,
দূর্বলতা চায় বিছানাকে।
হসপিটালে যাওয়া চাই,
রক্ত পরীক্ষাতো অবশ্যই।
পর্যাপ্ত জল হবে খেতে,
ওয়ারেস মেশাবে তাতে।
মশারিটা টাঙ্গিয়ে শোবে,
প্রতিটি ঘরে ধুনো দেবে।
ব্লিচিং ফিনাইল ছড়াও চারিদিক,
পরিষ্কার থেকো তারও ততোধিক।
ডেঙ্গু মশা দিনে কামড়ায়,
রাতে ডিম পাড়ে নর্দমায়।
ঘরের পাশের ওই নর্দমায়,
ডেঙ্গু মশারা সেলাম জানায়।
থালায় মালায় জল রাখা,
মশা ডিম পাড়তে পায় মওকা।
তিনশো টাকার খাটা পায়খানা,
ওটাই সব মশা তৈরির কারখানা।
ওই পায়খানা প্লেটের চারপাশে,
হাজারো ফুটো আছে ঘেঁষে।
ওখানে লক্ষ্য কর সন্ধ্যা হলে,
ওই ফুটো দিয়ে মশা আসছে চলে।
শুনবে সেথা মশার আনন্দ গান,
সেথা হুল ফুটিয়ে মশা নেবে প্রাণ।
ওই দান খৈরাতের শৌচাগার,
সাবধানে করো ব্যবহার।
মিটিং মিছিলে নেই ক্ষতি,
নোংরা করোনা এক রতি।
সমাজটাতো তোমার আমার,
ক্ষতি করবে বলো তুমি কার?
               -------- রঞ্জন গিরি।