নিত্য চলি, নিত্য বলি
নিত্য নতুন ফ্যাশান,
কেউ নেড়া মাথায় ঘুরপাক খায়
কেউবা বাবরি চুল চান।
হাঁটে কেউবা ব্যাঁকা হয়ে
কেউবা চলেন সোজা,
শীত কাটায় কেউ খালি গায়ে
কেউ গরমে পরে মোজা।
ফুলিয়ে পেশী দিয়ে ডন
ফ্যাশান দেখায় কেউ,
মানুষের চোখে বলবান সে
বাঘ দেখলে ভেজা মিঁউ।
দাঁত দেখিয়ে হাঁসে কেউবা
কেউ গোমড়া মুখে থাকে,
অভিমানে উপোষ কেউ
কেউবা রাগে বিড়ি ফুঁকে।
ফ্যাশানে কেউ সাহেব সাজে
ঝুলিয়ে গলায় গামছা,
সাহেব বলে মনে হবে তাঁরে
আসলে সে সাহেবের চামচা।
কেউ ফ্যাশানে সুরায় মাতাল
কেউ বসে দেয় গাঁজায় দম,
কাজ কমে কেউ ফ্যাশান দেখায়
কেউবা দেয় বিবেক শ্রম।
চোখ ভালো কেউ চশমা পরে
অন্ধ থাকে খালি চোখে।
আসুক বিনা ডাক্তার খানায়
আসুক নিয়ে কেউ দুখে।
কিনলে গাড়ি করলে বাড়ি
বলে ফ্যাশান বড় নাকি!
কুকুরে দিয়ে মাংস লুচি।
শাক ভাত খেয়ে থাকি।
দেনা করে সোনা পরে
ফ্যাশান কেউ বাড়ায়,
সুদের অঙ্ক বাড়ালে ব্যাংক
তাঁরে ঢোল পিটিয়ে তাড়ায়।
ফ্যাশান করে ইয়ার ফোনে
কেউবা পপ গান শুনে,
নাচতে থাকে হেলে দুলে
সেযে না জানে তার মানে।
গেরুয়া পরে ফ্যাশান করে
কেউ সাজে বড় মহারাজ,
শাড়ি ছেড়ে প্যান্ট পরে কেউ
ফ্যাশান করে মেমের মতো সাজ।
গাল ভরে অনেক বাবু মশাই
ইংরেজীতে দেয় গালি,
মদ না খেয়েও কেউ মাতাল সম
ফ্যাশান করে পড়ে টলি।
           ------- রঞ্জন গিরি।