গাঁয়ের কথা লিখতে বসে,
হাজার শংসা মাথায় আসে।
কি লিখি আর কি না লিখি,
গাঁয়ের রূপ যে চোখে দেখি।
বিহঙ্গ আর শ্যামলা তরু,
গাঁ যে আমার পদ্য গুরু।
গাঁয়ের রাস্তা হোক না মাটি,
গাঁয়ের মানুষ পুরো খাঁটি।
কষ্ট দেখলে গ্রামের লোকে,
ঝাঁপিয়ে পড়ে  তাঁর শোকে।
পিতা মাতায় গ্রামের ছেলে,
বৃদ্ধ হলে কোলে তুলে।
বাঁধে তাদের শ্রদ্ধা প্রেমে,
পাঠায় নাতো বৃদ্ধাশ্রমে।
চষে চাষী গাঁয়ের মাটি,
সারা জীবন না পায় ছুটি।
চাষী মাঠে ধান রোয়ে,
মত্ত তাঁরা বাউল গেয়ে।
শহুরে বাবুর জোগায় অন্ন,
শহরে খাইয়ে গাঁ ধন্য।
পুকুর,বিলে মাছের খেলা,
গাঁয়ের নদে ভাসে ভেলা।
গাঁ শোনে না ধর্ম্ম বারণ,
সব জাতিকে করে বরণ।
সাদা সিধে গাঁয়ের লোক,
নেইকো তাঁদের লোভী চোখ।
শীতল বাতাস গাঁয়ে ফিরে,
হাঁপ ছেড়ে লোকে বাঁচতে পারে।
গ্রামের বধূ সকাল সাঁঝে,
নাইতে যায় পুকুর ঘাটে।
মন্দির,মসজিদ বিভেদ নাই,
সকল জায়গায় সকলে যাই।
নম্র হতে গাঁ যে শেখায়,
উপকারের দাম না চায়।
গাঁয়ের কথা লিখলে পরে,
শেষ না হবে বছর ধরে।
গাঁয়ের ছেলে আছি গাঁয়ে,
গর্ব করি গাঁ কে নিয়ে।
            --------    রঞ্জন  গিরি।