স্বরস্বতী আর লক্ষীবতী
মহাদেবর কন্যা দুটি,
কৃপণ বাপের নিপুণ চিন্তা
চিমটে বুড়ো বজ্র মুঠি।
স্বরস্বতী নাকি বিদ্যাবতী
না জানে লেখাপড়া,
গোবর ঘুঁটে সদাই ঘাঁটে
মাথায় গোবর পোরা।
হাতে ছড়ি কাঁখে ঝুড়ি
সে যে গরু চরায় মাঠে,
রোদের তাপে দেহ হাঁপে
নিয়ত হাড় খাটুনি খাটে।
টাঁকলু বুড়ো কৃপণ বড়ো
সদা ভজে টাকার নাম,
এক পয়সা এদিক ওদিক
বুড়োর মাথায় ঝরে ঘাম।
তীঘ্ন চোখে লক্ষ্য রাখে
চছমার উপর দিয়ে,
কত খানি গোবর আনি
ঢুকল ঘরে মেয়ে।
লক্ষীবতী হয় ধনবতী
ধন নাই তার কিছু,
ঘুরে হন্যে খাবার জন্যে
বুড়োর পিছু পিছু।
মুঠো ভাত কাটে রাত
প্রাণটা জলে ধরে,
সকাল হলে পান্তাজলে
খালি পেটটা ভরে।
দিনে দিনে আহার হীনে
শুকায় দুটো মেয়ে,
চলন ধীরে রোগে ঘিরে
না খেতে পেয়ে পেয়ে।
ভীষণ আড়ো কৃপণ বুড়ো
করে নাতো কভু ভুল,
নাপিত কাজে খরচ বাজে
নিজে নেড়ো করে চুল,
স্বরস্বতীর বিদ্যানতি
নেই কখনো তার,
লক্ষীবতীর লক্ষীপ্রীতি
কৃপণের গলার হার।
----------- রঞ্জন গিরি।