সরকার ভাবে মহৎ চিন্তা
দেশের মানুষে বাঁচাতে,
পাড়ায় পাড়ায় কে অনুজ্ঞাদেয়
মানুষে মদ্যপ বানাতে?
রাস্তার মোড়ে পুকুর পাড়ে
শুধু বোতলের ছড়াছড়ি,
সন্ধ্যা নামলে টলছে যুবক
কেউ কেউ পথে দেয় হামাগুড়ি।
সরকারি ছাড় পত্রে মিলে
মদ ব্যবসার সুযোগ,
দুশো হাত অন্তর মদের দোকান
আহ্!কি সুবর্ণ সুখভোগ।
হেলমেট পরে গাড়ি চালায়
করে বেমালুম মদ্যপান,
দ্রুত গতিতে চালিয়ে গাড়ি
আকালে দেয় প্রাণ।
হাটে বাজারে পান্থ শালায়
মদের ফোয়ারা ছোটে,
মদ্যপেরা খুশি মতো
নারীর সম্ভ্রম লুটে।
আঠারোর যুবা আশির বুড়ো
মদ এক গ্লাসে গিলে,
দুজনে মিলে একই সঙ্গে
বেশ্যা খানায় চলে।
চাল নেই ঘরে চাউমিন খাওয়ায়
তার মাতাল সখাদের,
ঘরের বৌ বাচ্চা ভূখায় কাঁদে
সারাদিন মুখ না দেখে ভাতের।
ওই যুবা রাত্রে বাড়ি ফিরে
মাকে বলে শালী!
বুড়ো তার বুড়িকে পেঁদিয়ে
করে অশ্রাব্য গালাগালি।
আবাল ছাওয়াল দেখি চারিদিক
মদের নেশায় বুঁদ!
লোকারণ্যে বসে মদ্যপানে
বোতলে ছড়িয়ে রাখে সাবুদ।
মদের বোতল ধরিয়ে হাতে
মন্ত্রী করেন হুকুম জারি!
মদ্যপে ধরাবে পুলিশ দিয়ে
বাঁচিয়ে মদের কারবারি।
সরকার দখলে মদ্যপ লাগে
বেকারে খাইয়ে মদ,মাংস,
খুন,জখম,রাহাজানি করায় নেতা
যুব সমাজ করে ধংস।
এঁরাই সমাজের বিশিষ্ট লোক
সরকারে করে তদারকি,
ওঁরা মদ্যপে গড়ে সুস্থ্য সমাজ
ওঁদের লাভে আবার লাজ কি?
কত সরকার এলো গেলো
হলোনা এর প্রতিবাদ,
হ্রদ পুকুরের তলায় সমাজ
যুব সমাজ বরবাদ!
              ---------  রঞ্জন গিরি।