সিক্ত চোখে নিত্য বাবু,
মেয়ে হয়েছে ভয়ে কাবু।
অদ্য দিবসে সদ্য মেয়ে,
আধা খুশী মেয়েকে নিয়ে।
পরঘরি মেয়ে পরের তরে,
কাঁপেতো পিতা চিন্তা জ্বরে।
কন্যা ভরায় বন্যা চোখ,
কন্যায় নাকি ভীষণ শোক।
বুঝালাম তাঁরে বসে ঘরে,
সুখী হবি তুই মেয়ের তরে।
প্রমাণ কিছু দিলাম তাঁকে,
চেয়ে দেখতে গ্রামের বুকে।
"শান্তি কাকীর ষান্ডা ছেলে,
সদাই ঘুরে সে বিলে বিলে।
কাজ দেখলে সে কেটে পড়ে,
সন্ধ্যা হলে বেটা হাজির ঘরে।
বিড়ি মদের সে পয়সা চায়,
না পেলে বেটা বাপে পেটায়।
তুই কি চাস এমনিই ছেলে?
জুতো দিয়ে মারবে গালে!
সুভাষ বাবুর সুবোধ মেয়ে,
খুব দূরে তাঁকে দিয়েছে বিয়ে।
হাসপাতলে সে চাকরী করে,
সেবা করে লোকে বিবেক ভরে।
মা,বাবা তাঁর হয় চোখের মনি,
তাঁর বাসগৃহে সে ডাকে আনি।
সেবার যে তাঁর অন্ত নেই,
কর্ম স্থল থেকে ফিরে যেই।
সকাল সন্ধ্যা তাঁদের চরণ ছুঁয়ে।
শ্রদ্ধা জানায় সেতো ভূমিষ্ঠ হয়ে।
ভালোবাসা তাঁরতো সীমাহীন,
সদা মধুর বাক্যে কাটে দিন।
তুই বলবি তবে সুখী কাকে?
সুভাষ নাকি শান্তি মাকে!
             --------- রঞ্জন গিরি।