মা "ম"-এ প্রণাম করি
সে যে আমার সর্ব্ব "মা"
আমার মা,মাটি মা,দেশ মা,
তাদের নিকট নিচ্ছি চেয়ে ক্ষমা।
এবার তিন "ম"-এর মাঠা বিচার
আমরা করবো সবাই মিলে,
ক্রোধে সব "ম"এর দোসর
খাবে মোদের গিলে।
তিন "ম"মজলে মানুষ
কেহ রক্ষা নাহি পায়,
ঘরে ঘরে অশান্তির ছায়া
প্রায় লেগে থাকে গায়।
প্রথম "ম"-এ মদে মাতাল
হামাগুড়ি দেয় পথে,
জাপটে ধরে কুকুরের ঠেং
বলে যাচ্ছি চেপে রথে।
পিতা নাকি ইয়ার দোস্ত
" মা"কে সাজায় অষ্টাদশী,
হোঁচট বাংলায় কথা বলে
মদকে বলে ভালবাসি।
আদর করে চোখ ঝিমিয়ে
ওরা বোতলে দেয় চুমু,
হাতড়ায় যেতে দিনের আলোয়
দেয় শিশুর মতো হামু।
দ্বিতীয় "ম"টা মোটামোটি
নেহাত তত খারাপ নয়,
অতি মাংস মদে খেলে
হৃৎপিণ্ড, যকৃৎহয় ক্ষয়।
ওর নেশা যদি বাঁসাবাঁধে
করবে শুধু খাই খাই,
ভিটে মাটি সব বিক্রি হবে
কারুর রুখার জো নাই।
তৃতীয় "ম"তে মজলে মানুষ
মৃত্যু মুখে পা পড়ে,
বেশ্যা বাড়ির কেচ্ছা নিয়ে
কেউ বাঁচতে কি আর পারে।
মাগীর নেশায় মজলে লোকে
সব কিছু সর্বশান্ত হয়,
ঘটি বাটি বিক্রি করে
সে সদা পরিপাটি রয়।
আঁতর মেখে সাঁতার কাটে
গিয়ে মাগীকে গৃহে,
মদ,মাংস প্রেম রসে
থাকে মজে মোহে।
----------- রঞ্জন গিরি।