যতই কর লাঠালাঠি,
পরের কেচ্ছা ঘাঁটাঘাঁটি!
ছাড়িয়া তোমার বসতবাটী,
সাদরে ডাকিবে মা-মাটি।


যতই কর হিংসা দ্বেষ,
এক ফোঁড়াতে তুমি শেষ;
তুমি যে এক মানুষ বিশেষ,
থাকবে না তার কোন লেশ।


যতই দাও পরকে ফাঁকি,
পরের ধনে মেরে উঁকি;
কখনো সে না হয় সুখী,
সব শেষ হয় বুজলে আঁখি।


যতই কর রূপের অহং,
শেষ আগুনে বদলাবে রং;
মিটে যাবে তোর সাধের ভড়ং,
থাকবে কোথায় রং-এর সঙ।


নিজেই বলিস তুই সন্যাসী,
তুই সব কিছু চাস্ রাশি রাশি;
তোকে পঞ্চ রিপু বানায় খুশি,
তোর কীর্তি লেখে যমের মসী।


যতই চাস্ তুই আকাশ ছুঁতে,
মঙ্গলে চাস্ তুই পাড়ি দিতে;
স্বপ্নের ঘোরে তুই আছিস মেতে,
ফিরে আসতেই হবে এই ভূ-তে।


তুই ভালো তোর ঘর ভালো,
আর সবাইকে দেখিস কালো;
তুই যে এতো করিস কেলো,
তোর কীর্তি দেখে মাটি মালো।


তুই না ভুলিস এই মা-মাটি,
এটাই যে সত্যি শুধুই খাঁটি;
আর যা কিছু সবটাই ত্রুটি,
শেষ যাত্রায় দেবে পাঁচ পুয়া কুঠি।
                   ------- রঞ্জন গিরি।