একটি ব্রতকথা
রতন সেনগুপ্ত


মেষপালকেরা বাড়ি ফিরে গেলে
অন্ধকার নেমে আসে উপত্যকায়
মায়াবী  জ্যোৎস্না জানে সময় নিরুপদ্রব নয়
বিবেচনাহীন শুকর কচু বনে গেলে
ক্ষুধার্ত অজগর ঘাপটি মেরে থাকে
দর্শন বিহীন ক্ষুধা অনায়াস  বিনা পরিশ্রমে গেলে


এতো চর, চরাচর খবর রাখে
সুস্বাদু মাংস রসে পাচন ধরায়
জেগে ওঠে বংশবিস্তারী গোপন আড্ডা


প্যাঁচানো অজগর  থেকে জন্ম নেয়  একাংশে মনুষ্য মস্তিষ্ক
উচ্চকিত স্বরে ধমকায় কিম্ভুতকিমাকার
নির্দেশনামা ঝোলায় পুরোন ক্যাম্বিসে


নতজানু  ইচ্ছারা বুকের বারুদ ফ্রিজে রেখে
আশ্রমিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় থাকে
কবি ও কবিতা  কাঙাল  হয়


সব অনুশাসন  মনে করে মাথা দোলায়
আবেদন পত্রে লাইন দেয়, সই করে স্বর্ণাক্ষরে
দামী কলম বুকের পকেটে
মুহূর্তে কালি বদলায়


অসহ্য দাবদহের পর বজ্রবিদুৎসহ প্রেতাত্মা নামে
ভেজাকাঠে মহাশ্মশান জ্বলে, ইলেকট্রিক চুল্লী ব্যাহত  হলে
অজগর জানে এ সময় নিরবতা কত উপকারে আসে
কবি তা জানে না, ওপরের ঘষা কাচে ভূ-সংসার দেখে


বিধর্মী কবিতার পাতা ব্লক করে নতুন মিডিয়া
অজগরের রুদ্র চোখ এড়ায়
অনুদান আটকে যাবে, উচ্চাশার কাঁটা বিঁধে  যেতে পারে
সামিয়ানার বাইরে কাউকেই বরদাস্ত নয়


মাটঘাট ভেঙে যে হাঁটে,সে জানে
অতিরিক্ত ভক্ষণে নিদ্রা যাবে অজগর
তার হাতে ধারাল যৌবন, বলরামের কুঠার
মুখোমুখি বসিবার বিপন্ন বিস্ময়, আছে ইতিহাস