ভূমিদোষ
রতন সেনগুপ্ত


সব মোড়ে মদের দোকান, নাইট ক্লাব উল্লাসে চলে
চিল চিৎকার করে ব্রজবালা
পরে থাকে মৃত বা অর্ধমৃত
উৎস থেকে উৎসারিত
সারারাত্রি সারাবেলা - ব্লু-ফিল্ম ও চারুকলা
ভাঙা দরজা, জানলা, আলগা কপাট
ভরা মাঠে বীজ পোঁতে সার-জলে বিশ্ববিধাতা
নিচে ধর্ষণে ওপরে কাঞ্চন - এই-তো সকালবেলা


এরপর মোমবাতি হাতে হাঁটে ফাঁসির দাবিদার
বিবেক দংশনে, কার তরে?  কার কাছে?
গতিপথ অচিহ্নিত থাকে চিরকাল
কারিগর হাসে
নন্দী ভৃঙ্গি না হলে কে ওঠে মগডালে?


ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে ফুলজল পরে, ধর্মকে বেশ্যা করে
বাজারে চড়ায়
গদি ও গর্দান বড় রহস্যময়
গণতন্ত্র প্রিয়তায় অধিকার
ভিক্ষাপাত্রে হাঁটে


কবিতারা কথা বলে অচল পয়সায়
কাকে কে দেবে আলো
কৌশল, অন্তসার শুন্যতায় হাঁটে
মুকুট চায়, রাজা যদি হাত দেয় গায়
যশস্বান অর্থবান হবে


মানুষের ফুলজল তার হাতে নেই
অঞ্জলি  মৃত-অন্ধকারে মুর্খ উচ্চারনে মাতে
ভাইয়ের রক্ত নিয়ে ভাবে শত্রু নিধন
হাসে অন্তরযামি, মর মর মর
শান্তিরসে বাঁচি